আট বছরের কারাদণ্ড, ক্যারিয়ার শেষ লামিছানের

আগেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন সন্দীপ লামিছানে; অপেক্ষা ছিল রায় ঘোষণার। এবার সেই অপেক্ষা ফুরালো, কাঠমুন্ডু জেলা আদালত তাঁকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। বিচারক শিশির রাজ ধাকালের একক বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এর পাশাপাশি লামিচানেকে ৩ লক্ষ রুপি জরিমানাও করেছে আদালত।

সেই সাথে মামলার বাদীকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে ২ লক্ষ রুপি প্রদানের আদেশ দিয়েছে। এই রায়ে ক্রিকেট ক্যারিয়ার কার্যত শেষই হয়ে গেল নেপালী এই ক্রিকেট গ্রেটের।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এই ক্রিকেটারের নামে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন গুশালা নামের এক আদিবাসী তরুণী। তিনি দাবি করেছিলেন যে, সামাজিক মাধ্যমে লামিছানের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে; একটা সময় দুজনে দেখা করার ব্যাপারে মনস্থীর করেন। আর সেই সুযোগে একটি হোটেলে ডেকে লামিছানে তাঁর সম্ভ্রমহানি করেছেন। এরপরই নড়েচড়ে বসে নেপালি পুলিশ, গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয় এই লেগির বিরুদ্ধে।

সেসময় ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। তবে দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধার কথা জানিয়ে ফিরে আসেন, পরবর্তীতে থানায় আত্মসমর্পণও করেন। যদিও কিছুদিন পর বিচারক ধ্রুবরাজ নান্দা ও রামেশ ধাকালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাঁকে দুই লক্ষ রুপির বিনিময়ে জামিন মঞ্জুর করে; এরপর ক্রিকেটেও ফিরেছিলেন এই ডানহাতি।

এসবের মাঝেই বিচার কার্য চলমান ছিল, দীর্ঘ ১৫ মাস পর অবশেষে গত ডিসেম্বরে বিচারকদের চোখে অপরাধী প্রমাণিত হন নেপালের সাবেক অধিনায়ক। গুশালা নিজেকে কিশোরী দাবি করেছিলেন মামলার সময়, সেই দাবি অবশ্য আমলে নেয়া হয়নি বিচারের সময়।

আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে দ্রুততম ৫০ উইকেটের তালিকায় দুই নম্বরে আছেন সন্দীপ লামিছানে; আবার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ক্ষেত্রে আছেন তিনে। খেলেছেন আইপিএল, বিপিএল, বিবিএল, সিপিএলের মত ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট।

সবমিলিয়ে নেপালি ক্রিকেটের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কান্ডারি হওয়ার সবটুকু সামর্থ্য ছিল তাঁর – অথচ তিনিই কি না অমার্জনীয় ভুল করে বসলেন; এই ভুলের কড়া মাশুল দিতে হচ্ছে এখন তাঁকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link