ফখর জামান, ওল্ড ইজ গোল্ড

সিরিজ শুরুর আগে ফখর জামান জানিয়েছিলেন যে কোনো পজিশনে ব্যাট করতে প্রস্তুত তিনি; জানিয়েছিলেন টিম ম্যানেজম্যান্ট কতটা ভরসা করে তাঁর ওপর। দিন কয়েক আগে বলা কথাগুলো এবার মাঠে প্রমাণ করলেন ফখর, দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে চার নম্বরে নেমে খেলেছেন ঝড়ো ইনিংস।

তিন চার আর পাঁচটি বিশাল ছক্কার সাহায্যে এদিন মাত্র ২৫ বলে ৫০ রান করেছেন তিনি। না জিতলেও এই বাঁ-হাতি যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, ততক্ষণ ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছিল পাকিস্তান। কিউই বোলারদের উপর চেপে বসেছিলেন তিনি, আরো কিছুক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারলে হয়তো ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিতে পারতেন।

এই ব্যাটার যখন বাইশ গজে আসেন তখন ইনিংসের কেবল নয় বল শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে ধুঁকছিল পাকিস্তান – স্বাভাবিকভাবেই শুরুতে দেখেশুনে খেলেছেন তিনি, কিন্তু পঞ্চম ওভারে মিচেল স্যান্টনারকে পেতেই জ্বলে উঠে তাঁর ব্যাট; পর পর দুই বার বাউন্ডারির ওপারে যায় বল। এরপরের ওভারে দেখা যায় আরও বড় ছয়, এবার একেবারে স্টেডিয়ামের বাইরে।

ইশ সোধির মত লেগ স্পিনারকেও ছাড় দেননি এই তারকা। ডিপ মিড উইকেট দিয়ে একই ভঙ্গিতে দুই দুইটি ছয় মেরেছেন তিনি। সে সময় তাঁর নামের পাশে ছিল ১৬ বলে ৩৭ রান – পরবর্তীতে অ্যাডাম মিলনের ওভারে ব্যাক টু ব্যাক চারের সাহায্যে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। দুর্ভাগ্য আঘাত হানে পরের বলেই, বাউন্সারে পুল খেলতে গিয়ে বোল্ড হন এই বাঁ-হাতি।

ম্যাচ জেতাতে না পারলেও তিনি যা করেছেন সেটি বিশেষই বটে; বিশ্বমানের বোলিং লাইন আপের বিপক্ষে যেভাবে আগ্রাসন দেখিয়েছেন তাতে নিশ্চিতভাবেই সন্তুষ্ট হয়েছে ভক্ত-সমর্থকেরা।

ফখরের বিধ্বংসী রূপ দেখেই অভ্যস্ত সবাই, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে চিরচেনা রূপে দেখা যায়নি তাঁকে। গত বছর চার ম্যাচ খেলে মোটে ৬৪ রান করেছিলেন, স্ট্রাইক রেট ছিল ১১২। ২০২২ সালের পরিসংখ্যান আরো হতশ্রী, স্রেফ ১০৫ স্ট্রাইক রেট আর ১৪.৫ গড়ে ১১৬ রান এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে।

ব্যর্থতার গল্প ঝেড়ে নতুন বছরের শুরুটা দারুণভাবে করেছেন এই তারকা ব্যাটার। এখন ধারাবাহিকতা ধরে রেখে পারফর্ম করার পালা, সেটা করতে পারলে মিডল অর্ডার নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ থাকবে না পাক ম্যানেজম্যান্টের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link