টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের খুব বেশি দেরি নেই। সব দেশই তাই স্কোয়াড গুছানো শুরু করেছে ইতোমধ্যে, বাংলাদেশও ব্যতিক্রম নয়। আর টিম ম্যানেজম্যান্টের কাজের সুবিধা করে দিয়েছে আসন্ন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর থেকে পারফর্মার উঠে আসলে দল নির্বাচন করা সহজ হবে অনেকটাই।
বিশেষ করে ব্যাকআপ ওপেনার খোঁজা এখন সময়ের দাবি। লিটন দাসের সঙ্গী হিসেবে এখন আছেন রনি তালুকদার, কিন্তু মানসম্পন্ন বোলিং লাইনআপের বিপক্ষে তিনি এখনো প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করতে পারেননি। আবার নিউজিল্যান্ড সফর দিয়ে দলে ফেরা সৌম্য সরকারের ধারাবাহিকতা নিয়েও সংশয় রয়েছে।
এক্ষেত্রে তানজিদ হাসান তামিম ও এনামুল হক বিজয়দের উপর চোখ থাকবে এবারের বিপিএলে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এখনো বলার মত কিছু করতে না পারলেও ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে দুজনেরই – তাই বিপিএলে ভাল করলে ব্যাকআপ ওপেনার হিসেবে দলে ঢুকে যেতে পারেন তাঁদের কেউ একজন।
আবার শামীম হোসেন, আফিফ হোসেনদের ছন্দহীন ব্যাটিংয়ের কারণে ছয় সাত নম্বরে শূণ্যস্থান সৃষ্টি হয়েছে। আসন্ন টুর্নামেন্ট দিয়ে সেই শূণ্যতা পূরণের চেষ্টা করতেই হচ্ছে। পরিচিত মুখ হিসেবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, নুরুল হাসান সোহানদের পারফরম্যান্স অবশ্যই বিবেচনায় থাকবে। টুর্নামেন্ট জুড়ে চার ছক্কার ফুলঝুরি দেখাতে পারলে বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা তৈরি হবে তাঁদের সামনে।
আবার তরুণদের মাঝে জাকির হাসান থাকবেন লাইমলাইটে, পুরোদস্তুর ফিনিশার না হলেও মিডল বা টপ অর্ডার ব্যাটার হিসেবে স্কোয়াড ঢুকে যেতে পারেন তিনি। সেজন্য অবশ্যই ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের কোন বিকল্প নেই। এছাড়া জাকের আলী অনিক, আকবর আলীদের ব্যাটের দিকে নজর থাকবে ক্রিকেটপ্রেমীদের। নির্বাচকদের সন্তুষ্ট করতে পারলে বিশ্বকাপের আগে নিজেদের প্রমানের সুযোগ পেলেও পেতে পারেন তাঁরা।
হাসান মাহমুদের অফ ফর্ম আর তাসকিন-এবাদতের ইনজুরি উদীয়মান পেসারদের জন্যও জাতীয় দলে ঢোকার পথ তৈরি করে দিয়েছে। রেজাউর রাজা, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর পাশাপাশি মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনও হয়তো সেই পথে হাঁটতে চাইবেন; আর সেজন্য বল হাতে মুন্সিয়ানা দেখাতে হবে দেশীয় ক্রিকেটের মহাযজ্ঞে।