রোমাঞ্চকর জয়ে বিপিএলে শুরু ঢাকার

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচ রোমাঞ্চ ছড়ালো ক্রিকেট পাড়ায়। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স বনাম দুর্দান্ত ঢাকার লড়াইটা হয়েছে সমানে সমানে – শেষপর্যন্ত জয়ের হাসি হেসেছে নবাগত ফ্রাঞ্চাইজি। নাইম শেখের হাফসেঞ্চুরির পর ইরফান শুক্কুরের কার্যকরী ক্যামিওতে কষ্টার্জিত ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে তাঁরা।

টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লা শুরুটা করেছিল রয়ে সয়ে। দুই ওপেনার লিটন দাস আর ইমরুল কায়েস দেখেশুনেই খেলেছেন নতুন বল। কিন্তু চতুরাঙ্গা ডি সিলভা এই জুটিকে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি, ১৩ রান করা লিটনকে ফেরান তিনি। তিন নম্বরে নামা হৃদয় অবশ্য চাপ বাড়তে দেননি, ইমরুলকে নিয়ে গড়েছেন ম্যারাথন জুটি।

এই দু’জন স্কোরবোর্ডে যোগ করেছেন একশতের বেশি রান, যদিও তাঁদের রান তোলার গতি যথাযথ ছিল কি না সেটা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। একই কথা বলা যায় বাঁ-হাতি ওপেনারকে নিয়েও, ৬৬ রান করলেও ৫৬ বল খরচ করেছেন তিনি; অন্যদিকে হৃদয় ৪৭ রান করেছেন ৪১ বল খেলে।

এজন্যই উইকেট হাতে থাকা সত্ত্বেও বড় রান করতে পারেননি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। শেষদিকে খুশদিল শাহ দুই ছয় না হাঁকালে হয়তো ১৪০ রানও করতে পারতো না দলটি।

১৪৪ রানের মাঝারি মানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ঢাকা উড়ন্ত সূচনা পায় নাইম শেখের বদৌলতে। প্রথম দুই ওভারেই ২৩ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে, পাওয়ার প্লে শেষে সবমিলিয়ে ২৩ বলে ৪০ রান করেন তিনি। ততক্ষণে দলের রান পেরিয়ে গিয়েছে পঞ্চাশের গন্ডি। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণও চলে আসে তাঁদের হাতে।

এরপরও ম্যাচে ফিরতে পারেনি মুস্তাফিজরা; দাসুন গুনাথিলাকার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নাইম এগিয়ে গিয়েছেন জয়ের পথে। তেরো ওভারেই দলীয় শতক পূর্ণ করেন তাঁরা; ততক্ষণে হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটার। ফিফটি করার পরেই অবশ্য তাঁকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন তানভির ইসলাম, একই ওভারেই আরেক ওপেনারকেও আউট করে ম্যাচ জমিয়ে তুলেন তিনি।

নিয়ন্ত্রিত লাইন লেন্থে একটা সময় ঢাকাকে চেপে ধরে কুমিল্লা, এর সাথে পাল্লা দিয়ে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। যদিও বিশতম ওভারের নাটকীয়তা শেষে পাঁচ উইকেটে জিতে নিয়েছে ঢাকা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link