চলছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার (বিপিএল) লিগের দশম আসর। ইতোমধ্যেই মাঠে গড়িয়েছে খেলা। প্রত্যাশাকে পাশ কাটিয়ে চমক দেখাচ্ছে দলগুলো। পরাশক্তিদের ইতোমধ্যেই পরাজয়ের স্বাদ গ্রহণ করতে হয়েছে। তবে এখনও লম্বা পথ পাড়ি দেওয়া বাকি। এখনও অনেক ‘প্লট টুইস্ট’ হওয়া বাকি।
এর মাঝে অবশ্য দলগুলোতে খেলোয়াড়দের সংযোজন হওয়া অবশ্য থেমে নেই। ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর কাছ থেকে প্রতিনিয়তই আসছে নিত্য নতুন খেলোয়াড় ভেড়ানোর খবর। দুর্দান্ত ঢাকার স্কোয়াডে যুক্ত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান অ্যালেক্স রস।
নানামুখী অভিযোগের প্রশ্নবাণে বিপিএল বিদ্ধ হয় প্রায়শই। তেমনই এক প্রশ্ন বিপিএলে কেন মানসম্মত ভিনদেশী খেলোয়াড় আসেনা? এমন একটা প্রশ্নই ছুড়ে দেওয়া হয়েছিল অজি মিডল অর্ডার ব্যাটারকে। তবে তাকে স্রেফ অস্ট্রেলিয়ার দৃষ্টিকোণ থেকেই উত্তর দিতে বলা হয়েছিল। তেমন প্রশ্নে অজি তারকা সহজ-সরল ভাষায় ঘরোয়া ক্রিকেটের ব্যস্ততার কথাই উল্লেখ করেছে।
অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটের দলগুলোর সাথে খেলোয়াড়রা চুক্তিবদ্ধ থাকে নিদেনপক্ষে এক বছরের জন্যে। এই এক মৌসুমে সেই ক্লাবের হয়ে সব ক’টি ঘরোয়া টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে হয়ে উক্ত খেলোয়াড়দের। চার দিনের ক্রিকেটের পাশাপাশি, ওয়ানডে ক্রিকেটও খেলতে হয় তাদের অনেক। সে কারণেই দলগুলো থেকে ছাড়পত্র সচারচর মেলে না।
ঠিক সে কারণেই আসলে অস্ট্রেলিয়ার অনেক ক্রিকেটারই অংশ নিতে পারেননা বিপিএলে- তেমনটিই জানিয়েছেন রস। তিনি বলেন, ‘কয়েকটি কারণ আছে। ছেলেরা রাজ্য দলে খেলে যেমন নিউ সাউথ ওয়েলস, ভিক্টোরিয়া। চারদিনের ম্যাচ, ওয়ানডে ম্যাচ থাকে এজন্য তারা এখানে আসার অনুমতি পায় না। বিগ ব্যাশের বাইরে এসব লিগে খেলার ছাড়পত্র পায় না।’
তাছাড়া অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়দের অধিকাংশই আসলে সাদা পোশাকের ক্রিকেটকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। এসবের পাশাপাশি স্বদেশী বিগ ব্যাশ আয়োজিত হয়ই জাতীয় দলের বাইরে থাকা অজি ক্রিকেটারদের নিয়ে। সেসবের ফাঁকে ভিনদেশী টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগটা সচারচর হয়ে ওঠে না অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের।
এসবের মাঝেই বেন কাটিং ও অ্যালেক্স রসরা বেছে নিয়েছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকে। তবে টুর্নামেন্টের গুণগত মানের উন্নতি হলে হয়ত সামগ্রিক চিত্রের উন্নতি ঘটবে। পাশাপাশি বিপিএলের সময় পরিবর্তন হলেও সেটা হতে পারে টুর্নামেন্টের জন্যে যথেষ্ট ইতিবাচক। কেননা বিপিএল চলমান, এমন সময়ে পুরো বিশ্বে আয়োজিত হচ্ছে আরও বেশ কয়েকটি ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক টুর্নামেন্ট। সে কারণেও মানসম্মত ভিনদেশী ক্রিকেটারদের উপস্থিতি যথেষ্ট নয়।