মুশফিক, বরিশালের ‘মুশকিলে আসান’

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন মুশফিকুর রহিম। তবে ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণকে একেবারেই ঝেড়ে ফেলেননি নিজের মস্তিষ্ক থেকে। সে প্রমাণই তিনি রেখেছেন খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে খেলা ম্যাচে। দারুণ এক অর্ধশতকে ফরচুন বরিশালের বড় রানের কাণ্ডারি হয়েছে দেশ সেরা ব্যাটার।

দ্রুততার সাথেই রান তুলছিলেন সৌম্য সরকার। আরেক প্রান্ত থেকেও রান তোলার গতিতে স্লথ হতে দেননি তামিম ইকবাল। এমন সময়ে একটু ভুল বোঝাবুঝি। তাতে করে রান আউটে কাটা পড়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সৌম্য। এমন এক পরিস্থিতিতে বাইশ গজে হাজির হয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম।

তার উপর দায়িত্ব ছিল দলের রানটা যতটা সম্ভব বড় করা। অবশ্যই তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে। সে দায়িত্বটা দারুণভাবে পালন করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। সৌম্য ফিরে যাওয়ার পর রানের গতি খানিকটা স্লথ হয়েছে। তবে খুলনার বোলারদের উপর পুনঃরায় চড়াও হওয়ার কাজটা শুরু করেন মুশফিক। নাসুম আহমেদের বলে চার মেরে শুরু।

এরপর স্রেফ রানের ক্ষুধায় মত্ত হয়ে ব্যাট চালিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। বাউন্ডারি আদায় করেছেন। তার সাথে তাল মিলিয়ে প্রান্ত বদল করেছেন নিরলসভাবে। সে কাজটা বেশ ভাল করেই জানা মুশফিকুর রহিমের। পুরো ইনিংস জুড়েই তিনি রানের চাকাকে রেখেছেন সচল। খুলনার বোলারদের দেননি এক মুহূর্তের স্বস্তি।

প্রথমে তামিমের সাথে ৫৭ রানের জুটি গড়েন। এরপর দীর্ঘদিনের সতীর্থ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সাথে ৫৪ রানের পার্টনারশীপ গড়েন মুশফিকুর। পথিমধ্যে তার নামের পাশেও রান বেড়েছে সমান ছন্দে। ইনিংসের একেবারের শেষ বলে ছক্কা মেরে দলকে নিয়ে যান ১৮৭ রানের চূড়ায়।

শেষ অবধি মুশফিক নিজে অপরাজিত থেকেছেন ৬৮ রানে। মাত্র ৩৯ বলের এই ইনিংসে মুশফিক ব্যাট করেছেন ১৭৪ এর বেশি স্ট্রাইকরেটে। শেষের ছক্কা সহ মোট ৪টি ছক্কা এসেছে তার ব্যাট থেকে। তাছাড়া ৫টি চারের মারও এসেছে তার ব্যাট থেকে।

দেশের অন্যতম সেরা ব্যাটার মুশফিক। সে তকমা যে একেবারেই ফেলনা নয়, সে প্রমাণটাই আরও একবার রাখলেন মুশফিকুর রহিম। বয়স বাড়লেও যে একেবারেই নিস্তেজ হয়ে যাননি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট যে এখনও খেলতে জানেন মুশি, সেটারই এক নিদর্শন হয়ে রইলো খুলনার বিপক্ষে খেলা ইনিংসটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link