বাবরের ব্যাটে জয়ের পথ খুঁজে পেয়েছে রংপুর

আরো একবার লো স্কোরিং থ্রিলার দেখা গেলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে; সিলেট স্ট্রাইকার্স বনাম রংপুর রাইডার্সের ম্যাচের পুরোটা সময় দাপট দেখিয়েছেন দুই দলের বোলাররা। তবে বাবর আজমের ধৈর্যশীল হাফসেঞ্চুরির কল্যাণে নিজেদের প্রথম জয় পেয়েছে নুরুল হাসান সোহানের রংপুর।

আগে ব্যাট করতে নেমে সিলেট দ্বিতীয় ওভারেই হারায় মোহাম্মদ মিথুনের উইকেট। চমক হিসেবে তিন নম্বরে নামেন অধিনায়ক মাশরাফি, যদিও দুর্ভাগ্যজনক রান আউটের শিকার হয়ে তিনি ফেরেন ৬ রান করে। ইয়াসির আলীও দুই চার হাঁকিয়ে ভাল কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তবে বাইশ গজে স্থায়ী হতে পারেননি।

পাওয়ার প্লের মধ্যে তিন উইকেট হারানো দলকে টেনে তোলার সুযোগ ছিল নাজমুল শান্ত, জাকির হাসানদের সামনে। কিন্তু দুজনেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন অল্প সময়ের ব্যবধানে। ৩৯ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা স্ট্রাইকার্স বাহিনীকে লজ্জা থেকে বাঁচান বেনি হাওয়েল আর বেন কাটিং। দুই পেস বোলিং অলরাউন্ডারের ৬৮ রানের জুটিতে কোন রকম দলীয় শতক পূর্ণ করে দলটি।

অবশ্য ৩১ রান করে কাটিং আউট হলে বেশিদূর এগুতে পারেনি স্কোরবোর্ড। শেষ পর্যন্ত হাওয়েলের ৩৬ বলে ৪৩ রানের ইনিংসে ভর করে ১২০ রানের পুঁজি জমা হয়। এই দু’জন ছাড়া এদিন কেবল শান্ত দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছিলেন।

ছোট টার্গেট তাড়া করতে নেমে রংপুরেরও শুরুটাও ভাল হয়নি। ওপেনার রনি তালুকদারকে নিজের প্রথম শিকার বানান রিচার্ড এনগারাভা, আগের ম্যাচে শূণ্য রানে আউট হওয়া ব্রেন্ডন কিংকে আজকেও রানের খাতা খুলতে দেননি নাজমুল অপু। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে অধিনায়ক সোহান আউট হলে ম্যাচ পুরোপুরি জমে ওঠে।

তবে অন্যপ্রান্তে বাবর আজম ছিলেন অবিচল, তাঁর ব্যাটে ভর করেই জয়ের স্বপ্ন দেখছিল টিম রাইডার্স। কিন্তু নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে তাঁকে চাপে রাখে বোলাররা। নিজের প্রথম ওভারেই লঙ্কান লেগ স্পিনার দুশান হেমন্ত এক ওভারে তিন তিনজন ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান।

অবশ্য বাবর থাকায় ঘুরে দাঁড়াতে সমস্যা হয়নি, আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের সঙ্গে ৮৬ রানের জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন এই তারকা। এবারের আসরে প্রথমবার খেলতে নেমে তিনি নিজেও পেয়ে যান হাফ সেঞ্চুরির স্বাদ। শেষ পর্যন্ত তাঁর অপরাজিত ৫৬ এবং ওমরজাইয়ের ৪৭ রানে ভর করে চার উইকেটের জয় পায় রংপুর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link