২০২৩ সাল শেষ হয়েছে, অন্যান্যবারের মত এবারও ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) বছরের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচন করে স্বীকৃতি দিয়েছ। ওয়ানডে বিশ্বকাপ আর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ এবার পুরো বছর জুড়ে রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে ক্রিকেটাঙ্গনে, তাই বড় মঞ্চে যারা পারফরম করেছেন তাঁদের হাতেই উঠেছে বর্ষসেরার পুরষ্কার।
স্বাভাবিকভাবেই অস্ট্রেলিয়ার দাপট ছিল এই বিভাগে; ওয়ানডে এবং টেস্ট ফরম্যাটে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অজিরা সেটারই প্রতিফলন ঘটেছে আইসিসির সেরা পারফরমারের তালিকায়। ‘মেন’স প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার’ জিতেছেন দলটির অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। দুর্দান্ত অধিনায়কত্বের পাশাপাশি ব্যাট, বল হাতে ধারাবাহিকভাবে সাফল্য পেয়েছিলেন তিনি।
তাঁর হাত ধরেই ক্যাঙ্গারুরা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে হারিয়েছিল ভারতকে, অ্যাশেজ সিরিজও ধরে রেখেছিল এবং সবশেষে আহমেদাবাদে লক্ষাধিক দর্শককে স্তব্ধ করে বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছিল হলুদ জার্সিধারীরা।
‘মেন’স টেস্ট প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার’ হয়েছেন আরেক অস্ট্রেলিয়ান তারকা উসমান খাজা। সতীর্থ ট্র্যাভিস হেড, ভারতের স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং ইংল্যান্ডের জো রুটকে হারিয়ে এই স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। পুরো বছরে ১৩টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ১২১০ রান করেছিলেন এই ওপেনার; টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ জয়ে তাঁর ছিল গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
অন্য দুই ফরম্যাটে বর্ষসেরা ক্রিকেটার হয়েছেন ভারতের বিরাট কোহলি এবং সুরিয়াকুমার যাদব। বছর জুড়ে পঞ্চাশ ওভারের সংস্করণে বিরাট ধারাবাহিক রান করেছেন, ওয়ানডে বিশ্বকাপে হয়েছিলেন টুর্নামেন্ট সেরা। এছাড়া এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে সুরিয়াকুমার টানা দ্বিতীয়বারের মত টি-টোয়েন্টির বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন। প্রায় ৫০ গড় আর ১৫০ এর বেশি স্ট্রাইক রেটে পুরো বছর ব্যাট করেছেন তিনি। ভারতের মিডল অর্ডারের মেরুদণ্ড হিসেবে পারফরম করেছেন এই ডানহাতি। অধিনায়ক হিসেবেও তিনি ম্যাচ জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন।
এসবের পাশাপাশি বর্ষসেরা ইমার্জিং ক্রিকেটার হিসেবে রাচিন রবীন্দ্রের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার জেরাল্ড কোয়েটজি, শ্রীলঙ্কার পেসার দিলশান মাদুশঙ্কা এবং ভারতের ব্যাটার যশস্বী জসওয়ালকে হারিয়েছেন এই কিউই অলরাউন্ডার।