ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) টেস্ট র্যাংকিংয়ে রবীন্দ্র জাদেজার অবস্থান সবার ওপরে। দ্বিতীয় স্থানে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব প্রায় একশ পয়েন্ট। সাদা পোশাকে তিনি কতটা ধারাবাহিক সেটারই সাক্ষ্য দেয় এই র্যাংকিং, আর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠেই প্রমাণ দিলেন নিজের সামর্থ্যের।
টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ড ভেবেছিল আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে ভারতকে ভড়কে দেবে তাঁরা। কিন্তু তাঁদের এমন পরিকল্পনা সফল হয়নি কারণ, ভারতীয় শিবিরে একজন জাদেজা ছিলেন। ইংলিশদের সেরা ব্যাটার জো রুটকে ফিরিয়েছেন তিনি, ফিরিয়েছেন আরো দুজনকে।
সবমিলিয়ে ১৮ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৮৮ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট পেয়েছেন এই অফ স্পিনার। কিন্তু এতটুকুতেই সন্তুষ্ট হতে পারেননি তিনি। তাই তো ব্যাটিংয়ে সুযোগ পেতেই পুনরায় দেখিয়েছেন মুন্সিয়ানা। ক্যারিয়ারের বিশতম হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই বাঁ-হাতি। দিন শেষে অপরাজিত আছেন ৮১ রানে; সাতটি চার আর দুইটি ছয়ে সাজানো হয়েছে এই ইনিংস।
শ্রেয়াস আইয়ার আউট হওয়ার পর ছয় নম্বর ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে আসেন তিনি। এরপর লোকেশ রাহুলের সঙ্গে গড়েন ৬৫ রানের জুটি। ব্যক্তিগত ৮৬ রানের মাথায় রাহুল আউট হলে আবার শ্রীকর ভরতকে নিয়ে দলের স্কোরবোর্ড সচল রাখেন। দুজনের সাবলীল ব্যাটিংয়ে দারুণ এক সেশন পার করে টিম ইন্ডিয়া।
চা বিরতি শেষে ফিরে ৮৪ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন জাদেজা। দিনের বাকি অংশও নির্বিঘ্নে শেষ করেন তিনি, যদিও অন্যপ্রান্তে ভরত এবং অশ্বিনের উইকেট হারিয়েছিল রোহিত শর্মার দল।
রবীন্দ্র জাদেজার দুর্দান্ত বোলিংয়ে সফরকারীদের অল্প রানে আটকে দিতে পেরেছে ভারত। এখন ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রেও তাঁর দৃঢ়তায় পাহাড়সম সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দলটি। এই ম্যাচে ইংল্যান্ডকে কোনঠাসা করার কাজটা বলতে গেলে একাই করছেন তিনি।
এখন শুধু চাপটা ধরে রাখার পালা। সেটা করতে পারলেই বিশাল এক জয়ের স্বাদ পাবেন রোহিতরা। সেক্ষেত্রে ম্যাচের নায়ক জাদেজা হবেন তা বলাই যায়। শুধু তাই নয়, পুরো সিরিজ জুড়েই হয়তো আরো অনেকবার ইংরেজদের নাস্তানাবুদ করবেন এই অলরাউন্ডার। অন্তত তাঁর সামর্থ্য সেই বার্তা দেয় ভক্ত-সমর্থকদের।