খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে পরাজয়ের পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালো রংপুর রাইডার্স। বাবর আজমের হাফসেঞ্চুরি আর আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে দুর্দান্ত ঢাকাকে ৭৯ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে নুরুল হাসান সোহানের দল। এর মধ্য দিয়ে আসরের দ্বিতীয় জয় তুলে নিল তাঁরা।
আগে ব্যাট করতে ব্রেন্ডন কিং উড়ন্ত সূচনা এনে দেনকে রংপুরকে। তবে ২০ রান করেই তাসকিন আহমেদের বলে থামতে হয় তাঁকে। রনি তালুকদারও পারেননি ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙ্গতে, সাত বলে ১১ রান করে আউট হন তিনি। এরপর অধিনায়ক সোহানকে নিয়ে ইনিংস গড়ে তুলেন বাবর, দুজনের পঞ্চাশ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত তৈরি হয়।
কিন্তু একই ওভারে সোহান আর নবীর উইকেট তুলে নিয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলেন আরাফাত সানি। তবে সেই চাপ বাড়তে দেননি পাক তারকা, আজমতউল্লাহকে নিয়ে কাউন্টার এটাকিং ব্যাটিং করেন তিনি। সতেরোতম ওভারে তাঁকে আউট করেন গুনাথিলাকা, ততক্ষণে অবশ্য ৪৬ বলে ৬২ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন।
শেষদিকে আজমত আর শামীম ঝড় তোলেন ঢাকার বোলারদের উপর। এই দু’ জন যথাক্রমে ১৫ বলে ৩২ এবং ৮ বলে ১৭ রান করেন। এতেই ১৮৩ রানের পাহাড়সম পুঁজি জমা হয় স্কোরবোর্ডে।
বড় রান তাড়া করতে নেমে আবারো আফগান অলরাউন্ডারের তোপের মুখে পড়েন ঢাকার টপ অর্ডার। দানুসকা গুনাথিলাকা আর সাইম আইয়ুবকে শিকার করেন তিনি। মিডল অর্ডার ব্যাটার লাসিথ ক্রুসপুল্লেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। আরেক ওপেনার নাইম শেখ ১৫ বলে ৯ রান করে ফিরে যান।
ফলে ৩২ রানে চার উইকেটে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে মোসাদ্দেকের দল। এই অলরাউন্ডার নিজে সেই বিপর্যস্ত পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করেন দলকে, অ্যালেক্স রসকে সঙ্গে নিয়ে ৪৯ রান যোগ করেন বোর্ডে। তাতেই লজ্জার হাত থেকে রক্ষা পায় ঢাকা; যদিও অধিনায়কের বিদায়ের পর আবারো ব্যাটিং ধ্বসের মুখোমুখি হয় তাঁরা, ১০২ রানে সাত উইকেটের পতন ঘটে।
এক প্রান্ত আগলে রস অবশ্য হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন, কিন্তু তাতে খুব একটা ব্যবধান সৃষ্টি হয়। তিনি আউট হওয়ার পরেই তাসের ঘরের মত ভেঙে যায় ব্যাটিং লাইনআপ। সব কয়টি উইকেট হারিয়ে তাঁরা ১০৪ রানেই অলআউট হয়ে যায় দলটি।