নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এই জানুয়ারিতেই পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে রীতিমত ধবলধোলাই হয়েছিল পাকিস্তান। টানা ৪ ম্যাচ হারের পর শেষ ম্যাচটি জিতে কোনোমতে হোয়াইট ওয়াশ এড়িয়েছিল শাহীন আফ্রিদির দল। তবে সেই জেতা ম্যাচটিই নাকি খেলতে চাননি পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম। এমনটাই জানাচ্ছে ক্রিকেটভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ক্রিকেট পাকিস্তান।
মূলত কুঁচকির চোটের কারণে সে ম্যাচটি খেলতে চাননি তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টিম ম্যানেজমেন্টের জোরাজুরিতে খেলতে রাজি হন তিনি। অবশ্য সে ম্যাচে পাকিস্তান জিতলেও বলার মতো কিছু করতে পারেননি বাবর। ২৪ বলে মাত্র ১৩ রান করে আউট হন তিনি।
এরপর ফিল্ডিংয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ মিস করেছিলেন বাবর। এরপর ইনিংসের অর্ধেক সময়েই তিনি মাঠের বাইরে কাটিয়েছিলেন। তবে ৩টি অর্ধ-শতকসহ ২১৩ রান করে সিরিজে সর্বোচ্চ সংগ্রাহক ব্যাটার আবার ছিলেন বাবরই।
এ দিকে প্রশ্ন উঠেছে, বাবরের ইনজুরি কতটা গুরুতর ছিল? যদি ইনজুরিই যদিই হয়ে থাকে তাহলে, ২১ জানুয়ারির ওই ম্যাচটি খেলার পর সাবেক এ অধিনায়ক কীভাবে বিপিএলে ২৩ জানুয়ারি সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ম্যাচটি খেললেন?
বাবরের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, তাঁর চোট খুব একটা গুরুতর ছিল না। যেহেতু পাকিস্তান দল সিরিজ হেরেছে, তাই বাবর বিশ্রামে থাকতে চেয়েছিলেন। তিনি এটাও মনে করেছিলেন, তাঁর না খেলা, একজন তরুণ খেলোয়াড়কে খেলার সুযোগ করে দেবে। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট বাবরের এমন সিদ্ধান্তে রাজি ছিল না। তাই বাবর বাধ্য হয়েই খেলেছিলেন।
তবে নিউজিল্যান্ড সিরিজের দুঃস্মৃতি ঝেড়ে ফেলে বিপিএলে এসে দারুণ ছন্দ দেখাচ্ছেন এ ব্যাটার। এখন পর্যন্ত ৩ ম্যাচের দুটিতে অর্ধ-শতক পেয়েছেন। আর সে দুটি ম্যাচেই তিনি ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন। তবে বাবরকে শেষ পর্যন্ত পাচ্ছেন রংপুর। কারণ ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে পিএসএল। আর বিপিএল শেষ হবে ১ মার্চ। অর্থাৎ শেষ ভাগে বাবরের সার্ভিস মিস করবে দলটি।