রান পাচ্ছিলেন ঠিকই। কিন্তু সেই ইনিংস দীর্ঘ না করতে পারার আক্ষেপে বারবার পুড়তে হয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকে। অবশেষে আসরে নিজের পঞ্চম ম্যাচে এসে ভাগ্য বদলালো এ ব্যাটারের। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে খেললেন ৫০ রানের ইনিংস।
২,১৯,৪৯, ১২। এই ছিল তামিমের আগের ৪ ম্যাচের স্কোর। প্রথম ম্যাচ বাদ দিলে প্রতি ম্যাচেই পাওয়ার প্লে-তে শুরুটা ভাল করেছেন। তবে সেই আত্মবিশ্বাসী শুরুর সময়টা আর দীর্ঘ হয় না। জুনিয়র তামিমের ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্নের জায়গাটা ছিল এখানেই। যদিও আগের ৪ ম্যাচে একটিতে ৪৯ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন। কিন্তু তামিমের কাছে প্রত্যাশাটা তো থাকে আরো অনেক।
প্রত্যাশার সেই চাপ এবার কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন এ ওপেনার। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে এ দিন ১৩৮ রান তাড়া করতে নেমে দারুণ ব্যাটিং করেছেন তামিম। আগের ম্যাচে ৯১ রান করা আভিষ্কা ফার্নান্দো এ দিন শুরুতে ফিরে গেলেও সেই চাপ একটুও দলের উপর আসতে দেননি তামিম। টম ব্রুসকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৬৫ বলে যোগ করেন ৮৯ রান। যেখানে ৪০ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ঠিক ৫০ রান করেন তানজিদ।
শুরুতে কিছুটা ধীরে ব্যাটিং করলেও পরবর্তীতে ঠিক ব্যাট হাতে মারমুখী ভূমিকায় অবতীর্ণ হন এ ব্যাটার। শুরুটা করেন তানজিম হাসান সাকিবকে ৪ মেরে। এরপর রেজাউর রাজা, দুশান্ত হেমন্তের বলেও বাউন্ডারি তুলে নেন এ ব্যাটার। আর পুরো ইনিংসে দুই ছক্কার একটি হেমন্তের বলে আর অন্যটি মাশরাফির বলে সীমানা ছাড়া করেন তানজিদ।
যদিও পঞ্চাশ পূরণের পরই হ্যারি টেক্টরের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান এ ব্যাটার। তবে ততক্ষণে চট্টগ্রামের জয়ের রাস্তা উন্মুক্ত হয়ে গিয়েছে। শাহাদাত হোসেনকে নিয়ে চট্টগ্রামের বাকি কাজটা শেষ করেন ব্রুস। তানজিদের মতো তিনিও তুলে নেন ফিফটি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৫১ রানে।
৫ ম্যাচের ৪ জয়ে রীতিমত উড়ছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ওপেনার তানজিদ তামিমও নিশ্চয়ই দলের এই সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার পথে ছুটবেন রানের নেশায়। আর তানজিদ রানে থাকলেই জয়ের পথে অনেকটা পথ এগিয়ে থাকবে চট্টগ্রামও। কারণ যে দুটি ইনিংস চল্লিশ পেরোনো ইনিংস খেলেছেন তানজিদ, সেই দুই ম্যাচে চট্টগ্রামের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি কোনো প্রতিপক্ষ।