চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের জয়ের ধারা ভেঙে টানা পঞ্চম জয় তুলে নিল রংপুর রাইডার্স। জেমশ নিশাম, সাকিব আল হাসানের অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সের পাশাপাশি অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান, রেজা হেন্ড্রিকসের অবদানে ৫৩ রানের জয় পেয়েছে দলটি। আর এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান আরো মজবুত হলো তাঁদের।
একগাদা পরিবর্তন নিয়ে এদিন ব্যাটিংয়ে নামে রংপুর, পরিবর্তনের সুফলও এসেছে দ্রুত। রনি তালুকদার আর রেজা হেন্ড্রিকসের ওপেনিং জুটিতে আসে ৬১ রান। ২৪ রান করে রনি ফিরলেও মোমেন্টাম ধরে রাখেন হেন্ড্রিকস, সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে বোর্ডে যোগ করেন আরো ৬০ রান। সাকিব অবশ্য সেট হয়ে আরো একবার বড় রান করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
তবে প্রোটিয়া তারকা ঠিকই তুলে নিয়েছেন ফিফটি, আউট হওয়ার আগে তিনি করেছেন ৪১ বলে ৫৮ রান। তাঁর গড়ে দেয়া মঞ্চে দাঁড়িয়েই ঝড় তুলেছেন মিডল অর্ডারে খেলা সোহান আর জেমস নিশাম। বিশেষ করে কিউই অলরাউন্ডার রীতিমতো বিধ্বংসী ব্যাটিং করেছেন; মাত্র ২৬ বলে তুলে নিয়েছেন হাফসেঞ্চুরি।
শেষপর্যন্ত তাঁর অপরাজিত ফিফটি এবং অধিনায়কের ৩১ রানের ক্যামিওতে ২১১ রানের বিশাল পুঁজি পায় টিম রাইডার্স। বিপিএলের চলতি আসরে এবারই প্রথম দলীয় সংগ্রহ দুইশতের গন্ডি পেরিয়েছে।
রান তাড়া করতে গিয়ে শুরুতেই ধাক্কা খায় চট্টগ্রাম; তৃতীয় ওভারে জস ব্রাউন ফিরে যান সাকিবের বলে বোল্ড হয়ে। এরপর আর আগ্রাসী হতে পারেনি দলটির ব্যাটাররা, একের পর এক ডট উল্টো চাপ বাড়িয়েছেন তাঁরা। সেই চাপে পড়েই আউট হয়েছেন টম ব্রুস। সেখান থেকে প্রতিরোধের চেষ্টা করেছেন শাহাদাত হোসেন দীপু, কিন্তু নিশামের দুর্ধর্ষ ক্যাচের বদৌলতে তাঁকেও ফিরতে হয় প্যাভিলিয়নে।
একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন সৈকত আলী, খুব বেশি আক্রমণাত্মক খেলতে না পারলেও দলকে লজ্জার মুখে পড়তে দেননি তিনি। কার্টিস ক্যাম্পায়ারের সঙ্গে তাঁর ৫৮ রানের জুটিতে শতরানের গন্ডি পেরুতে সক্ষম হয় শুভাগত হোমের দল। ততক্ষণে অর্ধশতক তুলে নিয়েছিলেন সৈকত, যদিও রান আউটের ফাঁদে আটকা পড়ায় ৬৩ করে থামেন তিনি।
শেষদিকে চট্টগ্রামের অধিনায়ক ১৩ বলে ৩৩ রানের ক্যামিও খেললেও সেটা পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে শুধু। শেষমেশ নির্ধারিত বিশ ওভারে ১৫৮ রানে থামে তাঁদের ইনিংস।