যুব বিশ্বকাপ থেকে জাতীয় দলে সুযোগ দেওয়ায় ‘সেরা’ বাংলাদেশ

বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের মাধ্যমেই বেরিয়ে আসে আগামীর তারকা। বিশেষত, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ তো অনেক দেশের ক্রিকেটার তৈরির বড় একটা মঞ্চও বটে। এই যেমন বিরাট কোহলি থেকে শুরু করে বেন স্টোকস, স্টিভেন স্মিথ— বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেটারই যুব বিশ্বকাপ থেকে উঠে এসেছেন। 

বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্ষেত্রে আবার অনূর্ধ্ব-১৯ দল সেতুপথ হিসেবেই বিবেচিত হয়। বর্তমান অধিনায়ক সাকিব কিংবা অন্তর্বর্তীকালীন অধিনায়ক শান্ত— দুজনই এসেছে বয়সভিত্তিক ক্রিকেট দিয়ে। আবার সাবেক অধিনায়ক মুশফিক, তামিমও অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফসল। সব মিলিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাথে জাতীয় দলের যোগসূত্র অনেক আগে থেকেই। 

আইসিসির নিজস্ব সমীক্ষাও সেটাই জানাচ্ছে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ থেকে সবচেয়ে বেশি ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ থেকে।  এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের হয়ে যুব বিশ্বকাপ খেলা ৪১ শতাংশ খেলোয়াড়ই জাতীয় দলের জার্সিতে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। যা অন্যান্য টেস্ট প্লেয়িং দলের চেয়ে বেশি। 

এই তালিকায় পরের নাম আফগানিস্তান। যুব বিশ্বকাপ খেলা ৩৮ শতাংশ তারকা খেলেছেন আফগানিস্তানের হয়ে। আর তিনে রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দেশটির জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া ৩৬ শতাংশ ক্রিকেটারই যুব ক্রিকেটের অংশ।

এরপর ৩৪ শতাংশ ক্রিকেটার নিয়ে তালিকায় পাঁচে রয়েছে জিম্বাবুয়ে। আর ৩৩ শতাংশ ক্রিকেটার নিয়ে যুগ্মভাবে পাঁচে আছে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান। এ ছাড়া উল্লেখযোগ্য দেশগুলোর মধ্যে নিউজিল্যান্ড ৩২ ও আয়ারল্যান্ডের ৩১ শতাংশ ক্রিকেটার যুব ক্রিকেটের পথ ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছেন। 

তবে ভারতের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা কমই। যুব বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফলতম দলটির ২৭ শতাংশ ক্রিকেটার পরবর্তীতে জাতীয় দলের অংশ হয়েছেন। আর ইংল্যান্ডের ২৮ শতাংশ ক্রিকেটার যুব বিশ্বকাপের ফসল হয়ে ভবিষ্যৎ তারকা বনে গিয়েছেন। 

যুব বিশ্বকাপ থেকে জাতীয় দলে অভিষেকের তালিকায় সবার নিচে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়ার ২০ শতাংশ আর দক্ষিণ আফ্রিকার ১৮ শতাংশ ক্রিকেটার পরবর্তীতে জাতীয় দলের অংশ হয়েছেন। 

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link