রসের অতিমানবীয় ব্যাটিং ছাপিয়ে বরিশালের জয়

জমে উঠেছে শেষ চারের লড়াই, দুর্দান্ত ঢাকাকে হারিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এসেছে ফরচুন বরিশাল। তামিম ইকবালের অনবদ্য ব্যাটিংয়ের পর খালেদ আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কল্যাণে ২৭ রানে জিতেছে। আর এই জয়ে পরের রাউন্ডে জায়গা পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে গেলো দলটি।

আগে ব্যাট করতে নামা বরিশালের শুরুটা দারুণভাবেই হয়েছিল, তামিমের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের কল্যাণে প্রথম দশ ওভারে ৮৬ রান তোলে দলটি। মাঝে আরেক ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ অবশ্য ২২ বলে ২৪ রানের মন্থর ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফিরলেও তিনি ঠিকই ছুটতে থাকেন। মাত্র ৩৪ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন এই বাঁ-হাতি।

হাফসেঞ্চুরি করে আরো আগ্রাসী হয়ে উঠেন তিনি, শেষমেশ আউট হওয়ার আগে করেন ৪৫ বলে ৭১ রান। তাঁর এমন ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের ভিত পেলেও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি মিডল অর্ডার ব্যাটাররা। সৌম্য, মাহমুদউল্লাহ কিংবা শোয়েব মালিক কেউই প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে পারেননি। এসময় আলাউদ্দিন বাবু, তাসকিন বেশ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছিলেন।

তবে ফিনিশারের ভূমিকায় নিজেকে পুনরায় প্রমাণ করেন সাইফউদ্দিন। তাঁর ছয় বলে ২৩ রানের ছোট কিন্তু কার্যকরী ক্যামিওতে ১৮৬ রানের পুঁজি পায় মুশফিক, মিরাজরা।

জবাবে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিতে চেয়েছিলেন নাইম শেখ, কিন্তু ছক্কা মেরে রানের খাতা খোলা এই ব্যাটারকে চতুর্থ বলেই আউট করেন মহারাজ। দ্বিতীয় ওভারে সাইফ আক্রমণে এসে আরো ত্রাস ছড়ান, তুলে নেন দুই উইকেট। তাতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি হারিয়ে ফেলেছিল ঢাকা; সেই অবস্থা আর ফিরতে পারেনি তাঁরা।

শন উইলিয়ামসকে নিয়ে অ্যালেক্স রস অবশ্য চেষ্টা করেছিলেন লড়াই করার কিন্তু জিম্বাবুইয়ান তারকা বাজে শট খেলে আউট হয়ে যান মাত্র ১২ রান করেই। তরুণ এসএম মেহরাবও ক্রিজে বেশি সময় স্থায়ী হতে পারেননি – তবু নিঃসঙ্গ শেরপার মত একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন রস, ৩৬ বলে পেয়েছেন অর্ধশতকের স্বাদ।

এরপরও থামেনি তাঁর ব্যাটিং ঝড়, শেষপর্যন্ত অপরাজিত থেকে করেছেন ৮৯ রান; সেটিও কেবল ৪৯ বলে। এই অজি তারকার কল্যাণেই ১৫৯ রানের সম্মানজনক স্কোর গড়তে পেরেছে তাসকিনরা। অবশ্য অন্য ব্যাটাররা খানিকটা সমর্থন দিতে পারলে হয়তো ম্যাচের ফলাফল বদলে দিতে পারতেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link