নুরুল হাসান সোহান – নামটা হয়তো আপনার পছন্দের, হয়তো না। তাঁর ব্যাটিংও আপনার পছন্দনীয় হতে পারে, আবার নাও হতে পারে। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি ধারাবাহিক পারফরমার কি না সেই প্রশ্নে ইতিবাচক উত্তর দিতেই হবে। অবশ্য ধারাবাহিক পারফরম করেও জাতীয় দলে জায়গা হচ্ছে না তাঁর।
এইতো চলতি বিপিএলে ব্যাট হাতে দারুণ সময় কাটাচ্ছেন তিনি, কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে স্কোয়াডে নাম নেই তাঁর। ওয়ানডে তো দূরে থাক, টি-টোয়েন্টির জন্য ঘোষিত পনেরোজনের তালিকাতেও রাখা হয়নি তাঁকে। অথচ বিপিএলের পারফরম্যান্স বিবেচনায় জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া প্রাপ্যই ছিল।
রংপুর রাইডার্সের অধিনায়কত্ব করছেন এই উইকেটরক্ষক; সামলাচ্ছেন সাকিব আল হাসান, বাবর আজম, ইমরান তাহিরের মত কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের। তবে নিজের খেলায় সেটার ছাপ পড়তে দেননি তিনি, নিয়মিত রান করে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত নয় ম্যাচ খেলে চল্লিশ গড়ে ১৯৮ রান করেছেন তিনি।
টুর্নামেন্ট জুড়ে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ব্যাট করতে নেমেছেন এই ডানহাতি। কখনো মিডল অর্ডার ব্যাটার হিসেবে এসেছিলেন বাইশ গজে, কখনো ফিনিশার রূপে আবির্ভূত হয়েছেন। দুই তিনটি ম্যাচ বাদ দিলে বাকি সব ম্যাচেই নিজের দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করেছেন তিনি।
সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে তো ম্যাচসেরার পুরষ্কারও জিতেছেন এই তারকা। এছাড়া খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে তিন চার ও দুই ছয়ে মাত্র ১৩ বলে ৩২ রানের ক্যামিও এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। উইকেটের পিছনে তো বরাবরের মতই চটপটে তিনি, বিপিএলের এই আসরে ইতোমধ্যে একাধিকবার অবিশ্বাস্য স্ট্যাম্পিং করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দর্শকদের।
সবমিলিয়ে সময়টা ভালোভাবেই কাটছে নুরুল হাসানের, তবে নির্বাচকদের মন গলাতে পারলেন না। সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, এর আগে নিজেকে প্রমাণের মঞ্চ ছিল এই বিপিএল। সেখানে পারফরম করেও সুযোগ পেলেন না তিনি, এটা নিশ্চিতভাবেই হতাশ করবে তাঁকে।
যদিও সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি, সামনের ম্যাচগুলোতে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে হয়তো সুযোগ চলে আসবে সোহানের দরজায়। আপাতত সেই অপেক্ষাতেই থাকতে হচ্ছে তাঁকে।