বড় দু:সংবাদ, হুট করেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স শিবিরে কালো মেঘের ছায়া। দলের অন্যতম সেরা অস্ত্র মুস্তাফিজুর রহমান এই মুহূর্তে রয়েছেন হাসপাতালে।
চট্টগ্রামে দলগত অনুশীলনের সময় মাথায় আঘাত পান মুস্তাফিজ। তড়িঘড়ি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্থানীয় এক হাসপাতালে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) আজ ছিল না কোন খেলা। তাইতো দলগত অনুশীলনে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কুমিল্লা দল হাজির হয়েছিল।
সেখানেই ঘটে গেছে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। জানা গেছে সতীর্থের খেলা একটি শট মাথায় এসে আঘাত করে মুস্তাফিজুরের। তাতে করে মাথা ফেটে রক্তক্ষরণ হওয়ার মত দৃশ্য়ের অবতারণাও ঘটেছে সাগরিকায়। চোটের গভীরতা বুঝতে সময়ের অপেক্ষা করতে হবে।
তৎক্ষণাৎ রক্তপড়া বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়। আইসব্যাগ মাথায় চেপে ধরে রাখেন মুস্তাফিজ নিজেই। তবে তার চেহারার অভিব্যক্তিতে অন্তত বেজায় চোট পেয়েছেন বলেই ধারণা করা যায়।
এরপর স্ট্রেচারে করে মাঠ ছেড়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। চোট ঠিক কতটা গুরুতর এখনও তা নিশ্চিত নয়। নানান পরীক্ষা শেষেই চোটের বাস্তবতা জানা যাবে। আপাতত, তাই অপেক্ষা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
এবারের বিপিএলে মুস্তাফিজুর রহমান বল হাতে অন্তত ভাল সময়ই পার করছেন। ৯ ম্যাচে ১১টি উইকেট নিজের করে নিয়েছেন বা-হাতি এই পেসার। যদিও তার ইকোনমি রেটে বেশ একটা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে এই মুহূর্তে তার মাথার আঘাতটা সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার কারণ।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মিডিয়া ম্যানেজার খান নয়নের ভাষ্যমতে, রক্তক্ষরণ হয়েছে। তবে মুস্তাফিজ স্বাভাবিকভাবেই কথা বলেছেন। তাকে নিয়ে হাসপাতালে গেছেন দল সংশ্লিষ্ট দায়িত্বরত কর্তারা।
হাসপাতালে জরুরী ভিত্তিতে চোটের স্ক্যান করানো হয়েছে। তাতে করে প্রাথমিকভাবে চোট খুব একটা গুরুতর নয় বলেই ধারণা করছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। তাঁরা দ্রুত সুস্থতার কামনাই করছেন।
মাথার পেছন দিকটায় আঘাত পেয়েছেন মুস্তাফিজ। তাতে করে চোট গুরুতর হলে লম্বা সময়ের জন্যে ছিটকে যেতে পারেন তিনি। তেমনটি হলে আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজেও থেকে যেতে পারেন অনুপস্থিত।
তাছাড়া কুমিল্লার জন্যেও সেটা হতে পারে বিশাল এক ‘সেটব্যাক’। দলের অন্যতম সেরা পেসারকে ছাড়াও চ্যাম্পিয়ন লড়াইয়ে মনোনিবেশ করতে হবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে মুস্তাফিজের দ্রুত সুস্থতাই কাম্য। তিনি অতি দ্রুতই মাঠে ফিরবেন তেমনটাই প্রত্যাশিত। কাঁধের চোট মুস্তাফিজের সেই শুরুর দিককার ধার কমিয়েছে অনেকটাই।
এবার নতুন কোন চোটে জর্জরিত হয়ে নিজের স্বাভাবিক খেলাটাই পণ্ড না হোক- সেটাই হয়ত প্রার্থণা সকল দর্শক-সমর্থকদের। আর চলতি বছরে বাংলাদেশের সিরিজের কোনো কমতি নেই, এই অবস্থায় মুস্তাফিজের সুস্থতা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য খুবই জরুরী।