রাজকোট টেস্টে ইংল্যান্ড বিশাল ব্যবধানে হারার পর আলোচনার তুঙ্গে উঠে এসেছে বাজবল; তবে নেতিবাচক আলোচনাই হচ্ছে বেশি। সমর্থক থেকে শুরু করে নিন্দুকগোষ্ঠী সবাই মেতে উঠেছে বাজবলের সমালোচনায়। তবে নিজেদের পরিকল্পনায় অটুট ব্রেন্ডন ম্যাককালাম আর তাঁর শিষ্যরা; বাইরের কথায় কান দিতেই নারাজ তাঁরা।
দলটির অধিনায়ক বেন স্টোকস এই ব্যাপারে বলেন, ‘আমাদের ব্যাটিং লাইনআপ আন্তর্জাতিক মানের তারকায় পরিপূর্ণ। তাঁদের আমরা পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছি নিজের মত খেলার। হ্যাঁ, এমন ফলাফল হতাশাজনক তবে আমরা অতীতকে পিছনে রেখে পরবর্তী ম্যাচের দিকে মনোযোগ দিচ্ছি।’
অন্যদিকে কোচ ম্যাককালাম ভরসা রাখছেন ক্রিকেটারদের উপর। তিনি বলেন, ‘ড্রেসিংরুমে আত্মবিশ্বাসের কোনো কমতি নেই এবং ছেলেরা প্রতিভার প্রমাণ দিতে উন্মুখ হয়ে আছে। যদি আমরা বাইরের আলোচনাতে কান দিয়ে প্রভাবিত হই তাহলে সেটা আমাদের সমস্যা।’
যদিও ক্রিকেট বিশ্লেষক এবং সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটাররা মনে করছেন অতি আক্রমণাত্মক হতে গিয়েই সর্বনাশ ডেকে এনেছে স্টোকসের দল। একটু দেখেশুনে খেললেই হয়তো ম্যাচের চিত্র অন্যরকম হতে পারতো।
ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন তো সতর্ক করে দিচ্ছেন উত্তরসূরীদের। তাঁর ধারণা, ভারতের বিপক্ষে এই পরাজয় ইংলিশদের জন্য বিপদসংকেত। তিনি বলেন, ‘গত দুই বছরে কেন ম্যাচ হারলেও ইতিবাচক কিছু না কিছু ছিল, এভাবে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হয়নি। এটা আসলে সতর্কবার্তার মতই, মানসম্পন্ন দলের বিপক্ষে একতরফা খেলা যায় না।’
আরেক সাবেক পেসার অ্যাগনিউ বিশ্বাস করেন বাজবল অনেক ব্যাটারের স্বাভাবিক খেলাকে ব্যাহত করছে। তাই তো বেন ডাকেটের মত তরুণদের স্বাধীনতা দেয়ার পাশাপাশি জো রুটের মত ক্ল্যাসিক্যাল ব্যাটারকে নিজের মত খেলতে দেয়ার পক্ষে তাঁর অবস্থান।
তিনি বলেন, ‘এখন তাঁদের আসলে কিছুটা ভিন্ন উপায়ে খেলা উচিত। সময়ে সময়ে আরেকটু নিয়ন্ত্রিত খেলা খেললে তাঁদের কিন্তু সমালোচনা হবে না বরং সম্মান পাবে।’