তামিমে হতাশা, তামিমেই ভরসা

মিরপুরে লো স্কোরিং ম্যাচে দুই দলের বোলাররাই আলো ছড়িয়েছেন, তবে ফরচুন বরিশাল আর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মাঝে ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন তামিম ইকবাল নিজেই। তাঁর অনবদ্য হাফসেঞ্চুরিতে রোমাঞ্চকর এক জয় পেয়েছে বরিশাল; সেই সাথে শেষ চারে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে দলটি।

এদিন ৪৮ বলে ৬৬ রান এসেছে তামিমের ব্যাট থেকে, ছয়টি চার ও তিনটি ছয়ে সাজানো এই ইনিংসের কল্যাণে জয়ের পথ তৈরি হয়েছিল। ওপেনিং করতে নেমে বরাবরের মতই তিনি শুরুটা করেছিলেন দেখে শুনে, তবে ষষ্ঠ ওভারে মঈন আলীকে চার আর ছক্কা হাঁকিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন আজকের দিনটা তাঁরই।

এরপর থেকে ম্যাচ পরিস্থিতি বুঝে খেলেছেন এই বাঁ-হাতি; আস্কিং রানরেট অনুযায়ী রান তুলেছেন। কাইল মায়ার্সকে সঙ্গে নিয়ে গড়েছেন ৬৪ রানের জুটি। উইন্ডিজ অলরাউন্ডার আউট হলে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে মিলে স্কোরবোর্ডে যোগ করেছেন আরো ৩৯ রান। এরই মাঝে ৪০ বলে পূর্ণ করেছেন ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি। শেষপর্যন্ত দলের জয় অনেকটা নিশ্চিত করে তবে মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি।

যদিও প্রশ্ন থেকে যায় খান সাহেবের এই ইনিংসকে ঘিরে, ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স হলেও আদতে আদর্শ নয় এটি। কেননা অন্য অনেক দিনের মত এদিনও অতিরিক্ত ডট বল দিয়েছেন তিনি, স্ট্রাইক রোটেশন সন্তোষজনক ছিল না। বাউন্ডারি বাদে ৩৯ বল থেকে ২৪ রান করেছিলেন – সবমিলিয়ে তাই বলা যায়, মান্ধাতা আমলের অ্যাপ্রোচ ছিল।

পুরো ইনিংসের স্ট্রাইক রেট দেখে হয়তো মনে হবে ঠিকঠাক ব্যাট করেছেন এই তারকা, কিন্তু শেষ কয়েকটা বল বাদ দিলেই বোঝা যাবে আসল ব্যাপার। এই তো হাফসেঞ্চুরির আগেও তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল স্রেফ ১১৮, ভাবুন তো এমন সময় তিনি আউট হলে দলের অবস্থা কেমন হতো?

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স বড় স্কোর গড়তে পারেনি, মোটে ১৪১ রানের টার্গেট দিয়েছিল। এই লক্ষ্য তাড়া করতে বিশতম ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে বরিশালকে। কারণটা খুবই স্পষ্ট, মাঝের ওভারে অধিনায়কের নির্বিষ ব্যাটিং। এভাবে খেললে দশ ম্যাচের আটটিতেই নির্ঘাত দলকে ডুবতে হবে, কেননা সব ম্যাচে তো আর শেষদিকে স্ট্রাইক রেট বাড়িয়ে নেয়া সম্ভব হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link