ভারত বনাম ইংল্যান্ডের মধ্যকার চলমান টেস্টে দেখা গেলো বেন স্টোকসের রূদ্র মূর্তি। না, ব্যাট হাতে আগ্রাসী হন তিনি; বরং দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে আম্পায়ারদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তাৎক্ষণিকভাবে ধারাভাষ্যকাররাও বুঝতে পারেননি তাঁর মেজাজের কারণ।
তবে ধারণা করা যাচ্ছিলো, মাঠের আবহাওয়ার পরিবর্তন স্টোকসের কথোপকথনের বিষয় হতে পারে। কেননা টি ব্রেকের আগে রাঁচির আকাশ অনেকটাই কালো হয়ে এসেছিল, এমনকি ফ্লাড লাইট জ্বালাতে হয়েছিল সেসময়। অন ফিল্ড আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা তখন শান্ত করেন ইংলিশ অধিনায়ককে। এই ঘটনার এক বল পরেই টি ব্রেকের ঘোষণা দেন তিনি।
অবশ্য সেশনের প্রায় পুরোটা সময় উচ্ছ্বসিত ছিলেন এই অলরাউন্ডার। কারণটা স্পষ্ট, তাঁর দল ম্যাচের লাগাম নিজেদের করে নিয়েছিল। স্পিনার শোয়েব বশির দ্বিতীয় সেশনে একাই নিয়েছেন তিন উইকেট।
শুরুটা হয়েছিল শুভমান গিলকে দিয়ে, এই টপ অর্ডার ব্যাটারকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন তিনি। রজত পতিদারকেও একই পথ দেখান, এরপর ইনফর্ম রবীন্দ্র জাদেজাকে ঝুলিতে পুরেন। তাঁর দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৮৬ রানে এক উইকেট থেকে ১৩০ রানে চার উইকেটের দলে পরিণত হয় টিম ইন্ডিয়া।
সবমিলিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষে ভাল অবস্থানেই আছে সফরকারীরা, এখন পর্যন্ত প্রথম ইনিংসে বড় লিডের ঘ্রাণ পাচ্ছে তাঁরা। বশিরের পাশাপাশি টম হার্টলির দারুণ স্পিনে প্রতিপক্ষের সাত উইকেট তুলে নিয়েছে দলটি, এখনো এগিয়ে আছে ১৩৪ রানে।
জো রুটের হাত ধরেই মূলত ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাজবলের সেনানীরা। আগের দুই ম্যাচ হারের পর এই ম্যাচেও প্রথমে পিছিয়ে পড়েছিল, কিন্তু তাঁর অপরাজিত ১২২ রানে ভর করে ৩৫৩ রানের পুঁজি জমা হয় বোর্ডে। সেজন্যই আপাতত রোহিত শর্মাদের চাপে রাখা যাচ্ছে।