তামিমের কপালে দুশ্চিন্তার দুই ভাঁজ

একটু ব্যঙ্গ করেই এক সময়ের বন্ধু সাকিবের উদযাপন নকল করবার চেষ্টা করেছিলেন তামিম ইকবাল। ব্যাস! তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠার মত করেই ক্ষোভে বিভক্ত বাংলাদেশের ক্রিকেট। সেটা অবশ্য নতুন এক উন্মাদনাও করেছে সৃষ্টি।

দশম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) শেষবারের মত বাইশ গজে দেখা যাবে সাকিব-তামিম দ্বৈরথ। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের ফলাফল ছাপিয়ে তাই দর্শকরা অধীর আগ্রহে দুই সেরা খেলোয়াড়ের দ্বৈরথ দেখার অপেক্ষায়। এবারের আসরে দুইবার সাকিব-তামিম হয়েছিলেন মুখোমুখি।

ব্যাট হাতে সাকিবের বিপক্ষে বেশ কঠিন সময়ই পার করতে হয়েছে তামিমকে। দুই ম্যাচে সাকিবের আট বল খেলেছেন তামিম। তাতে রান নিতে পেরেছেন মোটে পাঁচটি। দ্বিতীয় দেখায় তো, সাকিব বোলিং প্রান্তে আসা মাত্রই চড়াও হতে চেয়েছিলেন তামিম। শেষ পরিণতি হিসেবে সাকিবের উইকেটে পরিণত হতে হয়েছিল তামিমকে।

যদিও ফরচুন বরিশালের কোচ মিজানুর রহমান বাবুল মনে করেন, বোলার দেখে নয়, বল দেখেই খেলেন তামিম। তিনি বলেন, ‘তামিম যখন ব্যাটিং করে তখন কে বল করছে সেটা দেখে না। এটা ভাল বল না খারাপ বল- মানে ক্রিকেটে যখন ব্যাটিং করা হয় তখন বল দেখে ক্রিকেট খেলা হয়।’

তবে বল দেখে খেলতে চাওয়া তামিমের জন্যে আরও এক দুশ্চিন্তার কারণ রংপুরের আফগান পেসার ফজল হক ফারুকি। আন্তর্জাতিক সার্কিটে গেল বছর অবধি এই ফারুকির বলে চারবার আউট হয়েছেন তামিম ইকবাল খান। ফুলার লেন্থের ইনসুইং বলের বিপক্ষে তামিমের সেই দূর্বলতার অবশ্য সেখানেই থেমে থাকেনি।

জল গড়িয়েছিল অনেকদূর। তামিমকে জোরপূর্বক ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তনের জন্যেও বলা হয়েছিল। তাতে করে কোলাহলের চূড়ান্ত রুপ পায় বাংলাদেশের ক্রিকেট পাড়া। এসব কিছু অতীত। তবে এই পরিসংখ্যানকে আরও খানিকটা দূরে ঠেলে দিতে চাইলেন বরিশালের কোচ।

তিনি বলেন, ‘ফারুকির যে ব্যাপারটা সেটা আরও দুই বছর আগের ঘটনা। এখন সে অবস্থায় নাই। আলহামদুলিল্লাহ তামিমও খুব ভাল অবস্থানে আছে। আর বললাম তো এটা দুই-তিন বছর আগের ঘটনা, সেই ঘটনা পুনরাবৃত্তি হওয়ার কোন কারণ দেখছি না।’

কোচ হিসেবে দলের সেরা খেলোয়াড়কে আগলে রাখবেন, সেটাই স্বাভাবিক। মিজানুর রহমান বাবুল সেই কাজটিই করেছেন। তবে এত সব নেতিবাচকতার মাঝে তামিম যে দারুণ সময় পার করছেন ব্যাট হাতে সেটা বেমালুম ভুলে যাওয়ার উপক্রম।

এই মুহূর্তে দশম বিপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তামিম। তিন ফিফটিকে সঙ্গী করে তামিমের রান এখন ৪৪৩। তবুও দ্বিতীয় কোয়ালিফারটা বেশ চাপেই কাটাতে হবে তামিমকে। সাকিব-ফারুকি জুটি নিশ্চিতভাবেই ভীষণ চাপ সৃষ্টি করতে চাইবেন। সেই চাপ ছাপিয়ে যাওয়াটা অন্তত তামিমের পূর্ব অভিজ্ঞতার অংশ নয়। দলকে ফাইনালে তুলতে চাইলে আগে যা করতে পারেননি তাই করতে হবে তার। শিরোপা খরাটাও তো কাটানো দরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link