কোনো সন্দেহ ছাড়াই তাঁকে ইতিহাসের সেরা বাংলাদেশি কোচ বলা যায়। সাফল্য তাই বলে, ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি ঈর্ষণীয় এক চরিত্র মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে চারবার জিতিয়েছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শিরোপা।
সর্বশেষ টানা তৃতীয়বারের মত ফাইনালেও তুলেছেন কুমিল্লাকে। সাকিব আল হাসান-সহ জাতীয় দলের শীর্ষ ক্রিকেটাররা আজও কোনো দরকারে ছুটে যান প্রিয় সালাহউদ্দিন স্যারের কাছে। জাতীয় দলের কোচিং সেট আপে কেন তিনি নেই – সেই প্রসঙ্গ তাই প্রায়ই ওঠে। কিছুদিন আগেই ক্রীড়ামন্ত্রী ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান মুখ খুলেছেন এই প্রসঙ্গে।
বোর্ড সভাপতি জানিয়েছিলেন, সালাহউদ্দিন আগ্রহী নন জাতীয় দলের ব্যাপারে। এই প্রসঙ্গে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স দলের কোচ ক্রিকেট বিষয়ক গণমাধ্যম ক্রিকবাজকে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে এখন আর কারও অধীনে কাজ করার বয়স নেই। সহকারী কোচ হলে আমাকে খেলোয়াড়দের ডেভেলপমেন্টের পেছনে অনেক সময় দিতে হবে। একজন সহকারী কোচকে দলকে গড়ে তুলতে বড় ভূমিকা রাখতে হয়। সেটা করার অবস্থাতে আমি নেই। আর তেমন মানসিকতাও নেই।’
এখানে স্বয়ং জাতীয় দলের কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহেও বড় একটা কারণ। সালাহউদ্দিন বলেন, ‘যতটা দেখেছি ও শুনেছি হাতুরুসিংহের সাথে বাকি কোচরা মানিয়ে নিতে পারে না। আমি যে মানসিকতার, তাতে আমি স্বাধীনভাবে কাজ করতে চাইবো। কেউ আমার উপর জোর খাটালে বিষয়টা কঠিন হবে। আমি সেরকম মানুষ নই। তাই, আমি কোচ হতে নাম দেই না। বিশ্বকাপ শেষে যেখানে কোচিং স্টাফ দলের অর্ধেকই চলে গেল। তাঁরা যদি হাতুরুসিংহের সাথৈ কাজ করতে না পারে, আমি কিভাবে পারব। আমি কাজের স্বাধীনতা চাই। সেটা হবে না জেনেই জাতীয় দলের সহকারী কোচ হতে আবেদন করিনি।’
কিন্তু, যদি পুরোপুরি টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হয়, যেখানে তাঁর পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে? সেক্ষেত্রে অবশ্য ভেবে দেখবেন সালাহউদ্দীন। তিনি বলেন, ‘হ্যা, আমাকে টি-টোয়েন্টি দায়িত্ব (প্রধান কোচ) দেওয়া হলে অবশ্যই ভেবে দেখব।’
চলতি বছর জুন মাসে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। এর আগেই হয়তো নতুন করে টি-টোয়েন্টি দলের কোচ পাল্টাবে না বিসিবি। তবে, বিশ্বকাপের পর পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে বিষয়টা ভেবে দেখলে ক্ষতি কি!