ঋষাভ পান্তের মানসিক শক্তি আর জিমন্যাস্টিক্সের পূর্ব অভিজ্ঞতাই তাঁকে ফিরতে সাহায্য করেছে। দূর্ঘটনার পনেরো মাস পর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) ফেরার সবুজ সংকেত পেলেন তিনি। এতটাই বাজে সময় ছিল সেটা যে ডাক্তাররা ভেবেছিলেন পান্তের পা পর্যন্ত কেটে ফেলতে হতে পারে।
ভারতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটার ঋষাভ পান্ত। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে দিল্লি-দেরাদুন হাইওয়েতে একটি দূর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন তিনি। তবে প্রত্যাশিত সময়ের পূর্বেই তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন।
ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমির(এনসিএ) একজন সাইকোথেরাপিস্ট থুলসি যুবরাজ বলেন, ‘তাঁর (ঋষাভ) মানসিক শক্তি এবং আত্মবিশ্বাসই আমাদেরকে ১০০% দিতে বাধ্য করেছে। ডাক্তাররা বিশ্বাস করেছিলেন তাঁকে সুস্থ হতে দুই বছরের মত সময় লাগবে। এর মাঝে সে একবার এনসিএ-তে এসেছিলেন এবং তখন তাঁর মাঝে বেশ উন্নতি লক্ষ্য করা যায়।’
ছোট বেলা থেকেই ঋষাভ জিমন্যাস্টিক্সের সাথে পরিচিত। আর সেই অভিজ্ঞতাই তাঁকে সাহায্য করছে। স্ট্রেন্থ এবং কন্ডিশন কোচ নিশান্ত বোর্দলইয়ের মতে, ‘ঋষাভের জিমন্যাস্টিক্সের অভিজ্ঞতা আমাদের বেশ সাহায্য করেছে। কিছু কিছু জিনিস তাঁর কাছে স্বাভাবিক ভাবেই আসে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ নব গঠিত বিষয়। যা গঠণ করতে প্রয়োজন মন এবং দেহের সংযোগ। স্নায়ুতন্ত্র পদ্ধতিতে বুঝতে হবে পেশি শক্তি এবং টেন্ডন কাজ করছে কি না।’
২৬ বছর বয়সী ঋষাভ ফেরার জন্য সকল চেষ্টাই করেছেন। ঋষাভ বলেন, ‘রিহ্যাব খুবই বিরক্তিকর। তবুও একই জিনিস বারবারই করতে হবে। কেননা, এছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই। এটা বিররিক্তিকর, তবে যত করবে তত ভাল হবে।’
তবে ক্রিকেটে ফেরার জন্য সে সকল কষ্ট সহ্য করেছে। তিনি আরো বলেন, ‘মাঠে আসলে আমি খুবই খুশি হই। ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসা বেড়েছে। আগেও ভালবাসতাম তবে তা এখন তা অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।’
এনসিএ স্টাফ এবং ক্রিকেটাররা তাঁকে ফিরতে বেশ উৎসাহ প্রদান করেন। তাঁর চিকিৎসায় কর্তব্যরত চিকিৎসক, বিখ্যাত অর্থোপেডিক সার্জন দিনশো পার্দিওয়ালা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এনসিএ প্রতিদিন তাঁর সাথে একজন ফিজিও রাখছেন। সুদৃঢ় মানসিকতা তাঁর (ঋষাভ) মাঝে বিদ্যমান ছিল। সে খুবই তাড়াতাড়ি ফিরে এসেছে। প্রত্যাশার চেয়েও ছয় মাস আগেই সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পেরেছে। এটা শুধুই তাঁর আত্মবিশ্বাস আর রিহ্যাবের দক্ষতা থাকার কারনে সম্ভব হয়েছে।’