২০২০ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলেছিলেন তিলক ভার্মা, চ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি সেবার। তবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সব গুণ রয়েছে তাঁর মাঝে, সেটাই প্রমাণ করে যাচ্ছেন তিনি। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ যখন পাহাড়সম সংগ্রহের চাপে পিষ্ট করতে চেয়েছিল মুম্বাইকে; তখন সব চাপের বিরুদ্ধে একাই প্রতিরোধ গড়েছিলেন এই তরুণ।
সর্বোচ্চ লড়াই করেছেন তিনি; যদিও অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া পারেননি তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিতে, উল্টো ২০ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলে আস্কিং রান রেটকে নিয়ে গিয়েছেন নাগালের বাইরে। অন্যান্য ব্যাটাররা যেখানে ২০০ ছুঁই ছুঁই স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করার চেষ্টা করেছেন সেখানে তাঁর এমন ব্যাটিং মুম্বাইকে ৩১ রানের হার উপহার দিয়েছে।
শুরু থেকেই এদিন আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন অজি তারকা হেড, তাঁর সঙ্গে যোগ দেন তিন নম্বরে নামা অভিষেক শর্মা। দু’জনের ঝড়ে পাওয়ার প্লেতেই ৮১ রান জমা হয় স্কোরবোর্ডে। ব্যক্তিগত ৬২ রানে বাঁ-হাতি ওপেনার ফিরলেও অভিষেক চালিয়ে গিয়েছেন তান্ডব। খানিক পরে ২৩ বলে ৬৩ রান করে এই তরুণও আউট হন।
তবে রানের গতি কমেনি একটুও; দুই প্রোটিয়া মার্করাম আর ক্লাসেন টপ অর্ডারের গড়ে দেয়া ভিত্তির সদ্ব্যবহার করেছেন। বিশেষ করে উইকেটরক্ষক ব্যাটার হয়ে উঠেছিলেন অতিমানব। ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি করেও তৃপ্ত হননি তিনি, শেষপর্যন্ত অপরাজিত থেকে করেছেন ৩৪ বলে ৮০ রান। অন্যপ্রান্তে মার্করাম অপরাজিত ছিলেন ৪২ রানে।
তাতেই ২৭৭ রানের এভারেস্টসম পুঁজি পায় হায়দ্রাবাদ, এর আগে আইপিএলের ইতিহাসে আর কোন দলই পারেনি এই উচ্চতায় পৌঁছাতে। অসম্ভব এক লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার রোহিত শর্মা আর ঈষান কিষাণ উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছেন দলকে। উদ্বোধনী জুটিতে কেবল ৩.২ ওভারেই এসেছে ৫৬ রান।
যদিও টানা দুই ওভারে এই দু’জন আউট হওয়ায় ব্যাকফুটে চলে যায় হার্দিক পান্ডিয়ার দল। কিন্তু হাল ছাড়েননি তিলক, উদীয়মান নামান ধীরকে নিয়ে ৮৬ রানের জুটি গড়েন তিনি। তাঁদের হার্ডহিটিং ব্যাটিংয়ে জমে উঠে ম্যাচ, যদিও অবিশ্বাস্য কিছু ঘটেনি এরপর।
৬৪ রান করে বাঁ-হাতি এই ব্যাটার আউট হলে আশার শেষ প্রদীপটুকুও নিভে যায়। শেষদিকে টিম ডেভিডের ২২ বলে ৪২ রানের ইনিংস কেবলই পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছে। মূলত হায়দ্রাবাদ কাপ্তান প্যাট কামিন্সের দারুণ বোলিং আর কৌশলী অধিনায়কত্বই সফরকারীদের বারবার আটকে দিয়েছিল।