রান হজমের মিছিলে ফিরলেন মুস্তাফিজ

দুই ম্যাচে ছয় উইকেট, ইকোনমি সাতের একটু বেশি – নিজের পুরনো দল দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে তাই মুস্তাফিজুর রহমানের কাছে প্রত্যাশা ছিল একটু বেশি। যদিও এদিন জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। আগের দুই ম্যাচের মত ধারালো বোলিং দেখা যায়নি তাঁর কাছ থেকে; উল্টো দুই হাতে রান বিলিয়েছেন।

দিল্লির বিপক্ষে চার ওভার হাত ঘুরিয়ে ৪৭ রান খরচ করেছেন এই তারকা; বিনিময়ে উইকেট পেয়েছেন স্রেফ একটি। দলের অন্যান্য বোলারদের তুলনায় এমন পারফরম্যান্স বড্ড সাদামাটা। তাছাড়া পুরো ইনিংসে নিয়ন্ত্রিত বোলিং তাঁর কাছ থেকে দেখা যায়নি বললেই চলে।

প্রথম ওভারে একেবারেই ছন্নছাড়া ছিলেন এই টাইগার পেসার। তাঁর প্রথম বলেই চার হাঁকিয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার, পরের বলে ব্যাটারকে পরাস্ত করলেও নো বলের ইঙ্গিত দেন আম্পায়ার। তাতেই সুযোগ পেয়ে যান পৃথ্বী শ, পরের তিন বলে টানা তিন চার মারেন তিনি। সবমিলিয়ে এই ওভারে ১৮ রান হজম করতে হয়েছে এই বাঁ-হাতিকে।

তবে পরের ওভারে ঠিকই ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি; তুলে নিয়েছিলেন ওয়ার্নারের উইকেট। এর মধ্য দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন দ্য ফিজ। দুই ওভার শেষে তাঁর বোলিং ফিগার দাঁড়িয়েছিল এমন ২-০-২২-১।

সতেরোতম ওভারে আবারো খরুচে বোলিং করেছেন এই পেসার, এক চার ও এক ছয়ে মোট ১৩ রান বিলিয়েছেন তিনি। পরের ওভারেও প্রায় পুনরাবৃত্তি ঘটেছে, এবার তাঁর ওভার থেকে বারো রান আদায় করেছেন দুই ব্যাটার অভিষেক পোড়েল ও অক্ষর প্যাটেল।

ব্যক্তিগত শেষ দুই ওভারেই কাটার মাস্টারের বোলিংয়ে বৈচিত্র্যের ওভার ফুটে উঠেছিল নিদারুণ ভাবে। সতেরোতম ওভারে টানা স্লোয়ার বল করেছিলেন তিনি, আবার বিশতম ওভারে এসে ইয়র্কার করার চেষ্টা করেছেন প্রতিবার। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের এ সময়ে একই ধাঁচের বোলিং করে রান আটকানো কিংবা উইকেট তোলা বেশ কঠিন সেটা এতে দিনে বোধহয় জানার কথা তাঁর।

তবু আশা করা যায় চেন্নাই সুপার কিংস ভরসা করবে মুস্তাফিজের উপর। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী বোলার হিসেবে এতটুকু প্রাপ্যই বটে। যদিও পারফরম করতে না পারলে এই ভরসা খুব বেশি সময় স্থায়ী হবে না সেটিও নিশ্চিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link