ভুল সময়ে ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলার মাশুল দিতে হল মোহাম্মদ হারিসকে। পাকিস্তানের জার্সি গায়ে তাঁকে দেখা যাবে না আয়ারল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি- টোয়েন্টি সিরিজে। এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের বাদ পড়ার কারণই জানালেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার সালমান বাট।
বাট তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রতি হারিসের বাদ পড়া নিয়ে কথা বলেন। সেখানে তিনি পাকিস্তানের প্রতিভাবান ব্যাটারদের পর্যাপ্ততার কথা উল্লেখ করেন। মোহাম্মদ হারিস কিভাবে দলে জায়গা করে নিবেন, সেই বিষয়েও কথা বলেন। কেননা সেখানে জায়গা করে নিতে হলে তাঁর আগের পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করতে হবে।
এই বিষয়ে বাট বলেছেন, ‘আজম খান, সায়িম আইয়ুব এবং ইফতিখার আহমেদ সবাই আক্রমণাত্মক খেলোয়াড়। শাদাব খানও একজন শক্তিশালী হিটার আবার ইমাদ ওয়াসিমও একই ধরণের। উসমান খানও পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) অসাধারণ পারফর্ম করেছেন। তাই মোহাম্মদ হারিসকে রাখবেন কোথায়? তবে হারিসের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। সম্ভবত তাঁর নিজেকে জিজ্ঞাসা করতে হবে যে, সে তাঁর সম্ভাবনা এবং প্রতিভার প্রতি সুবিচার করেছে কিনা। কেননা সে অত্যন্ত প্রতিভাবান উইকেট রক্ষক- ব্যাটার। সে যেভাবে বলকে আঘাত করতে পারে তা সত্যিই আকর্ষণীয়।’
হারিসের ব্যাটিং করার ধরণ নিয়ে বেশ চিন্তিত বাট। হারিস সঠিক সময়ে সঠিক শট নিতে প্রায়ই ভুল করেন। তিনি অপ্রয়োজনীয় মুহূর্তে ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলে থাকেন। আর তা চোখ এড়ায়নি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) নির্বাচকদের।
হারিসের ব্যাটিং ধরণ নিয়ে বাট বলেন, ‘সে কিছু কিছু শট খেলে থাকে যা ঐ সময়ের জন্য অপ্রয়োজনীয়। এমনটা সে (হারিস) শুধু টি-টোয়েন্টির ক্ষেত্রেই করেন তা নয়। সে পাকিস্তানের এ দলের হয়ে এভাবেই ব্যাটিং করেছে। যখন কেউ একই ভুল বারবার করে, তখন তাঁর মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই পারেন। আর এবিষয় গুলোই নির্বাচকদের চিন্তিত করেছে।’
হারিসের সমালোচনা ছাড়াও বাট তাঁর প্রসংশাও করেন। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত সবাই তাঁর (হারিস) খেলা দেখতে চায়। তবে এজন্য তাঁকে ২২ গজে আরো মনস্থীর করতে হবে। ব্যাটিংয়ে মনোযোগী হতে হবে।’
জানিয়ে রাখা ভাল, এ পর্যন্ত হারিস পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন নয়টি টি-টোয়েন্টি। যেখানে তাঁর গড় রান মাত্র ১৪ এবং সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৩১ রান। ঘনিয়ে আসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আর তার সাথে সাথে নির্বাচকদের কাছে নিজেকে প্রমাণ করাটা হারিসের জন্য এখন সময়ের দাবি।