প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন সাকিব আল হাসান। এরপর আর চট্টগ্রাম টেস্টে মাঠে নামা হয়নি এই অলরাউন্ডারের। সেই চোটের কারণে সাকিব ছিটকে গেছেন পুরো সিরিজ থেকেই।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান মনে করেন সাকিবের অনুপস্থিতিতেই হেরেছে তাঁরা। টস জিতে বাংলাদেশের আগে ব্যাট করার সিদ্বান্তের সাথেও একমত নন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ী এই অধিনায়ক।
তিনি বলেন ‘আমার কাছে মনে হয় সাকিবের অনুপস্থিতি অনেক বেশি ভুগিয়েছে। আর আমার মনে হয় আগে বোলিং নিয়ে খেললে আমাদের জন্য খুব ভালো হত।’
চট্টগ্রাম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩৯৫ রানের বিশাল চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েও কাইল মেয়ার্সের অবিশ্বাস্য ইনিংসের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মমিনুল হক জানিয়েছিলেন এমন হারের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না তাঁরা। আজ মিরাজও বলেছেন একই কথা।
তাই আকরাম খান মনে করেন এমন হারে ব্যাকফুটে চলে গেছে তাঁরা। ঐ পরাজয় মানসিক ভাবে পিছিয়ে দিয়েছে ক্রিকেটারদের। এই অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পরিশ্রম করার কথা জানিয়েছেন আকরাম খান।
তিনি বলেন ‘একটু না, ভালোই ব্যাকফুটে! টেস্টের এই পরাজয় মানসিকভাবে আমাদের অনেক দুর্বল করবে। আমাদের যে মানসম্পন্ন খেলোয়াড় আছে, তারা ভালো করলে ইনশাআল্লাহ। হার্ড ওয়ার্ক করতে হবে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ শেষে আগামী মাসেই নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে বাংলাদেশ। ঐ সময়ই পৃথিবীর আলো দেখবে সাকিবের তৃতীয় সন্তান। সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতে ইতিমধ্যে ছুটির আবেদনও করেছেন সাকিব। তাই এই সিরিজের মতো নিউজিল্যান্ড সিরিজেও এই অলরাউন্ডারের সার্ভিস পাবেনা বাংলাদেশ।
সাকিববিহীন ঐ সিরিজে আরো কঠিন কিছু অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য। নিউজিল্যান্ডে গিয়ে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনেও থাকতে হবে বাংলাদেশকে। আকরাম খান উদ্বিগ্ন কোয়ারেন্টাইন নিয়েও।
আকরাম খান বলেন ‘আমাদের জন্য কঠিন সিরিজ হবে। একে তো নিউজিল্যান্ড কঠিন একটা দল। ওরা ব্যাটিং বোলিং সব বিভাগেই চমৎকার পারফর্ম করে। তার মধ্যে ঘরের মাঠে তো ওরা অনেক শক্তিশালী। সবচেয়ে বেশি সমস্যা যেটা হবে- খেলোয়াড়রা গিয়েই কোয়ারেন্টিনে থাকবে। এতে খেলোয়াড়রা মানসিকভাবে পিছিয়ে থাকবে। এটা নিয়ে আমরা খুব উদ্বিগ্ন।’
নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশ সিরিজের সূচি
ওয়ানডে সিরিজ
- ২০ মার্চ : প্রথম ওয়ানডে – ডানেডিন
- ২৩ মার্চ : দ্বিতীয় ওয়ানডে – ক্রাইস্টচার্চ
- ২৬ মার্চ : তৃতীয় ওয়ানডে – ওয়েলিংটন
টি-টোয়েন্টি সিরিজ
- ২৮ মার্চ : প্রথম টি-টোয়েন্টি – নেপিয়ার
- ৩০ মার্চ : দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি – অকল্যান্ড
- ০১ এপ্রিল : তৃতীয় টি-টোয়েন্টি – হ্যামিল্টন