ঢাকার টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসের অস্টম ওভারের তৃতীয় বলটি মিরাজ একটু বাড়তি স্পিনের সাথে বাউন্স দিয়ে করলেন; সেই বল খেলতে গিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে মিঠুনের হাতে ক্যাচ দিলেন শেন মোজলি। তাতেই বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে দ্রুততম ১০০ উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
৯০ উইকেট নিয়ে সিরিজ শুরু করেছিলেন মিরাজ। প্রথম টেস্টে ৮ উইকেট পাওয়ার পর অপেক্ষায় ছিলেন ১০০ উইকেটের জন্য। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসেও শেষ হয়নি সেই অপেক্ষা। অবশেষে তৃতীয় দিন এসে অপেক্ষা শেষ হয়েছে মিরাজের। এছাড়া বাংলাদেশের প্রথম ডানহাতি বোলার হিসেবে ১০০ উইকেট শিকার করলেন এই অলরাউন্ডার।
এমন অর্জনের পর স্বাভাবিক ভাবেই খুশি হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজ জানিয়েছেন এই অর্জন তাকে আরো ভালো করতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
তিনি বলেন, ‘আলহামদুল্লিাহ, তারা বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে পেয়েছে। আমি ডানহাতি অফস্পিনার হিসেবে দ্রুততম একশো উইকেট পেয়েছি, এটা আমাকে আরও ভালো করতে অনুপ্রেরণা যোগাবে। আমি চেষ্টা করবো, দেশের হয়ে আরও উইকেট নেওয়ার জন্য। যা আমার ক্যারিয়ারের জন্য অনেক ভালো হবে।’
মিরাজের আগে বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে দ্রত ১০০ উইকেট শিকার করার রেকর্ড ছিলো তাইজুল ইসলামের দখলে। ১০০ উইকেট শিকার করতে তাইজুলের লেগেছিলো ২৫ টেস্ট আর মিরাজের লাগলো ২৪ টেস্ট। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ১০০ টেস্ট উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব গড়েন মোহাম্মদ রফিক। ১০০ উইকেট পেতে রফিককে খেলতে হয়েছিলো ৩৩ টেস্ট।
সাকিব আল হাসানের টেস্টে ১০০ উইকেট শিকার করতে লেগেছিলো ২৮ ম্যাচ। বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিও সাকিব আল হাসান। টেস্টে সাকিবের ঝুলিতে রয়েছে ২১০ উইকেট। বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে ২০০ উইকেট পাওয়া একমাত্র বোলারও সাকিব।
তবে টেস্টে দ্রততম ১০০ উইকেট শিকারের বিশ্বরেকর্ডের ধারেকাছেও নেই কোন বাংলাদেশি বোলার। মাত্র ১৬ টেস্টে ১০০ উইকেট নিয়ে এই রেকর্ডটি জর্জ লোম্যানের। সেই ১৮৯৬ সাল থেকে রেকর্ডটি নিজের দখলে রেখেছেন ইংল্যান্ডের এই পেসার। ১৭ টেস্টে ১০০ উইকেট শিকার করেছেন চার জন বোলার।
বর্তমান খেলছেন এমন বোলারদের ভিতর টেস্টে দ্রুত ১০০ উইকেট শিকার করেছেন ইয়াসির শাহ। টেস্টে ১০০ উইকেট পেতে পাকিস্তানি এই লেগ স্পিনারকে খেলতে হয়েছে মাত্র ১৭ টেস্ট। ১৮ টেস্টে ১০০ উইকেট শিকার করে পরের অবস্থানেই রয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।