অধিনায়কত্ব ইস্যুতে অন্ধকারে ছিলেন শাহীন শাহ!

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এই ফরম্যাটের নেতৃত্বে বদল এনেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। কপাল পুড়েছে শাহীন শাহ আফ্রিদির। সাদা বলে ফের পাকিস্তানের নেতা বনে গেছেন বাবর আজম।

তবে, বিস্ময়কর ব্যাপার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সদ্য সাবেক অধিনায়ক শাহীন শাহ আফ্রিদির সঙ্গে কোনরূপ আলোচনা করা হয়নি। তাঁকে অন্ধকারে রেখেই অধিনায়ক পরিবর্তন করার পরিকল্পনা করেছে পিসিবি, যা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে দেশটির ক্রিকেটাঙ্গনে।

গণমাধ্যমের গুঞ্জন অনুযায়ী, বাবর আজমকে পুনরায় অধিনায়ক হিসেবে দেখতে আগ্রহী ছিলেন বোর্ডের কর্তারা। হয়েছেও তাই, যদিও অতীত অভিজ্ঞতা বিবেচনায় বাবর নিজে রাজি হবেন কি না তা নিয়ে সংশয় ছিল। সেজন্য বিকল্প হিসেবে ভাবনায় রাখা হয়েছিল উইকেট কিপার ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানের নামও। বাবর রাজি না হলে পিসিবি হাঁটত রিজওয়ানের দিকেই, তবে শেষ অবধি রাজি হয়েছেন বাবর।

এতকিছুর মাঝে সবচেয়ে অবাক হওয়ার মত ব্যাপার, এসব নিয়ে শাহীন শাহর সঙ্গে কোন কথাই হয়নি পিসিবির। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি কিংবা অন্য কোন কর্মকর্তা কেউই যোগাযোগ করেননি তাঁর সঙ্গে। অথচ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কথা বলে এই পেসারের হাতেই তুলে দেয়া হয়েছিল সাদা বলের নেতৃত্ব ভার।

এছাড়া নেতৃত্বের আকস্মিক বদলের সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না শহীদ আফ্রিদির মত সাবেক ক্রিকেটাররা। তাঁদের মতে, এক সিরিজ পরেই শাহীন শাহকে সরিয়ে দেয়াটা অযৌক্তিক।

পিএসএলের পর থেকে অবশ্য এই তরুণ পেসার সক্রিয়ভাবে বিশ্বকাপের পরিকল্পনা করে যাচ্ছিলেন। দলের শক্তি বাড়াতে দুই বাঁ-হাতি ইমাদ ওয়াসিম ও মোহাম্মদ আমিরকে বুঝিয়ে অবসর ভাঙ্গিয়েছেন তিনি। এতকিছুর পরেও বিশ্ব মঞ্চে অধিনায়কত্ব করা হচ্ছে না তার।

টিম ম্যানেজম্যান্টকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হত। যাকেই অধিনায়ক করা হোক না কেন, তাকে অন্তত বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের আগে পর্যাপ্ত সময় দেয়া উচিত। আর ঠিক সে কারণেই পর্যাপ্ত সময় হাতে রেখেই বাবরকে দেওয়া হয়েছে অধিনায়কত্ব। তবুও শাহীন শাহ আফ্রিদির সাথে খোলামেলা আলোচনা না করাটা বেজায় দৃষ্টিকটু উদাহরণের সৃষ্টি করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link