চতুর্থ দিন কেবলই ব্যবধান কমানোর দিন

চতুর্থ দিন শেষ অন্তত একটা বিষয় স্পষ্ট- দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের পরাজয় সুনিশ্চিত। পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনেই খেলার ফলাফল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল। তাতে করে হোয়াইট ওয়াশ হওয়া বাংলাদেশের জন্যে যেন অবধারিত।

শ্রীলঙ্কা চতুর্থ দিনের ব্যাটিং শুরু করে ৬ উইকেটে ১০২ রান নিয়ে। তৃতীয় দিনের শেষ সেশন ছাড়া বাংলাদেশের চট্টগ্রাম টেস্টে আর নেই কোন সাফল্য। চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেও লঙ্কান ব্যাটারদের বিপক্ষে খুব একটা প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি টাইগার বোলাররা। এক উইকেটের বিনিময়ে ৫৫ রান যোগ করে শ্রীলঙ্কা।

জয়ের জন্যে বাংলাদেশকে ৫১১ রানের টার্গেট ছুড়ে দেয় দলটি। বিশাল এক লক্ষ্য়। এত বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের নেই কোন জয়ের রেকর্ড। এমনকি বাংলাদেশ সর্বোচ্চ রান তাড়া করেছে ২১৫ রান। তাও আবার সেই ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।

নিকট অতীতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ১৩৮ রান তাড়া করে জিতেছে ম্যাচ। অতএব বাংলাদেশের জন্যে ছিল ইতিহাস বদলে দেওয়ার মত এক চ্যালেঞ্জ। হয়ত অন্য যেকোন দিন বাংলাদেশের ব্যাটাররা সাহস হয়ত দেখাতো। তবে ব্যাটারদের ধারাবাহিক ব্যর্থতা সে সাহসকে দুঃসাহসে পরিণত করেছে।

শেষ অবধি সেই ব্যর্থতার ধারাই থেকে অব্যাহত। বাংলাদেশের ব্যাটারদের প্রত্যেকেই নিজেদের ইনিংস শুরু করেছিলেন। প্রত্যেকেই দুই অংক অবধি নিয়ে যেতে পেরেছিলেন চতুর্থ দিনে। তবে সেই দুই অংকগুলোও হয়নি বড়। তিন অংক যেন রীতিমত এক বিলাসিতা। জয়ের স্বপ্ন বাংলাদেশ করেনি, তবে ড্র করবার মানসিকতাও কোথাও একটা ছিল অনুপস্থিত।

চতুর্থ দিনে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন সেই মুমিনুল ইসলাম। তার ব্যাট ছাড়া বাকিদের ব্যাট যেন এক ফালি মৃত কাঠের টুকরো। তবুও বাংলাদেশের ব্যাটারার ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করে গেছে। সে চেষ্টায় চতুর্থ দিন শেষ করে ২৬৮ রান নিয়ে। উইকেট হারিয়েছে ৭টি। স্বীকৃত ব্যাটারদের মধ্যে স্রেফ মেহেদী হাসান মিরাজই টিকে রয়েছেন এখন অবধি।

পঞ্চম দিনের প্রথম ঘন্টার মধ্যেই খেলা নিশ্চয়ই শেষ করতে চাইবে শ্রীলঙ্কা। অন্যদিকে বাংলাদেশ হয়ত চাইবে ইনিংসের দৈর্ঘ্যকে টেনে বড় করতে। তবে বাংলাদেশের সফল হওয়ার সম্ভাবনা যে শূন্যের কোটায়, সে সম্ভবত না বললেও হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link