আন্দ্রে রাসেল, ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) খেলেন। শুধু তাই নয়, গোটা বিশ্বের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলে বেড়ান। তাঁকা বলা হয়, টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালা। হ্যাঁ, ক্রিস গেইল এখন অনেকটাই আড়ালে চলে যাওয়ায় এই তকমাটা এখন পুরোপুরি তাঁর।
আরও পড়ুন
- অদ্ভুত সব ক্রিকেট ব্যাটের গল্প!
- ম্যাক্সওয়েলের অভিমত: টি-টোয়েন্টির সেরা পাঁচ
- টি-টোয়েন্টির পাওয়ার হিটারদের দুর্বলতা: কেস স্টাডি
- দেশের আগে আইপিএল
- ভবিষ্যৎ কী তবে লম্বাদের দখলে!
নাইট রাইডার্সে খেলতে আসার আগে চুলে বেগুনী রঙ করেন। ম্যাচে ব্যাট করতে এলে দায়িত্বশীল ইনিংস না খেলে আউট হয়ে যান। বল করতে এলে পা পিছলে পড়ে যান। মিম হয়, ট্রল হয়, হাসির রোল ওঠে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক আলোচনা আর সমলোচনা হয়। আন্দ্রে রাসেল সে সব দিকে ফিরে তাকান না, তিনি এমনই। মাঠের বাইরের এই আলাপ তাঁকে ভাবায় না একদম।
তিনি আবার পরের ম্যাচে ওই ‘দ্রে রাস’ ব্যাট নিয়ে ২২ গজের দিকে এগিয়ে যান ধীরে ধীরে। আবার দলের হাল ধরার সময় এগিয়ে আসে। ওই ফ্রন্ট লাইনে থাকা মিম, ট্রল গুলো তখন আরও বড়, আরও আপডেট হওয়ার জন্য স্টার্টিং পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকে। দরকার তো শুধু একটা, জাস্ট একটা ব্যর্থতার এপিসোড।
ঠিক তখনই শুরু হয় প্লট চেঞ্জ সিকোয়েন্স। প্লট সাবপ্লট সব গুলিয়ে একাকার। স্ক্রিপ্ট যখন তথাকথিত ড্রামার নিয়ম মানে না, তখনই জন্ম হয় এক নতুন টুইস্টের, এক নতুন গল্পের। যে গল্পে ফিরে আসে সেই পুরোনো রোমাঞ্চ, সেই আদি উত্তেজনা। সেই ধুলো পড়ে যাওয়া গিটারে বেজে ওঠে সেই পুরোনো সুর, যে সুরে কানের সাথে চোখের আরাম দেয়, যে সুরে শুধু মাদকতা নেই সাথে হিংস্রতাও আছে। আছে বিপক্ষকে ছিঁড়ে খাওয়ার এক উদ্যম মানসিকতা।
আন্দ্রে রাসেলরা এরকমই হন। যখন গোটা পৃথিবী তোমাকে হিসেবের খাতার বাইরে ফেলে দেবে, তোমাকে নিয়ে অঙ্ক কষা কমিয়ে দেবে, তোমাকে জাস্ট সাইনবোর্ড হিসেবে তাচ্ছিল্য করবে – ঠিক তখনই রাসেল রা ঘুরে দাঁড়াবে, এমনভাবে ফাইটব্যাক করবে যার ফলে গোটা পৃথিবী আবার প্রশংসায় ভরিয়ে দেবে, দেওয়াল সেজে উঠবে আবার পুরোনো নামেই। ওই যে একটা কথা আছে না – দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে দেওয়াল জুড়েই লিখতে হয়।