টি-টোয়েন্টির রেকর্ড বইয়ের সঙ্গে নেপালের ক্রিকেটার দীপেন্দ্র সিং আইরের সম্পর্ক অন্য মাত্রা পেয়েছে। কাতারের বিপক্ষে শেষ ওভারে ছয় বলে ছয়টি ছক্কা হাঁকিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন তিনি। এর আগেও টানা ছয় বলে ছয়টি ছয় মারার কীর্তি রয়েছে তাঁর, যদিও সেটি ছিল দুই ওভার মিলিয়ে। এছাড়া আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির মালিকও এই ব্যাটার।
এসিসি মেনজ প্রিমিয়ার কাপে ওমানের মুখোমুখি হয়েছিল নেপাল। আগে ব্যাট করতে নেমে নেপাল ১৯ ওভারে ১৭৪ রান করতে সক্ষম হয়। বিশতম ওভারে স্ট্রাইকে ছিলেন দীিপেন্দ্র, আর বোলিং করতে এসেছিলেন পেসার কামরান খান। তাঁকে রীতিমতো দু:স্বপ্ন উপহার দিয়েছেন নেপালি ফিনিশার, একে একে ছয় বার বলকে মাঠের বাইরে পাঠিয়েছেন তিনি।
তাতেই ২১০ রানের বিশাল পুঁজি জমা হয় স্কোরবোর্ডে। এবং তাঁর নামের পাশে জমা হয় ২১ বলে ৬৪ রান – এর মধ্য দিয়ে যুবরাজ সিং, কাইরন পোলার্ডের সঙ্গে নাম উঠেছে এই ডানহাতির। দেশের জার্সিতে এ দু’জনই এর আগে ছয় বলে ছয় ছক্কা হাঁকানোর মাইলফলক স্পর্শ করতে পেরেছিলেন। ২০০৭ সালে স্টুয়ার্ট ব্রডের বিপক্ষে যুবরাজ সিং ও ২০২১ সালে আকিলা ধনঞ্জয়ার বিপক্ষে কাইরেন পোলার্ড বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছেন।
এখানেই থামেননি নেপালি তারকা, বল হাতেও পারফরম করেছেন। ৩৪ রানের বিনিময়ে কাতারের দুই ব্যাটারকে ঝুলিতে পুরেছেন তিনি। তাঁর এমন অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সেই ৩২ রানের বড় জয় পেয়েছে আসিফ শেখ, সোম্পাল কামিরা।
অবশ্য ২০২৩ সালের এশিয়ান গেমসে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে এক ওভারে পাঁচটি ছক্কা মেরেছিলেন দপেন্দ্র। সেখানেই শেষ নয়, এরপর স্ট্রাইকে এসে পুনরায় মেরেছেন আরেকটি ছয়।
সেদিন মাত্র ১০ বলে ৫২ রান করেছিলেন তিনি; ফিফটি করতে তাঁর প্রয়োজন হয়েছিল নয় বল। ফলত: ভেঙে যায় যুবরাজ, ক্রিস গেইল আর হজরতউল্লাহ জাজাইয়ের বারো বলে অর্ধশতকের রেকর্ড। তাছাড়া মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে সেই ম্যাচে ৩০০ রানের গণ্ডি পেরিয়েছিল নেপাল, সেবার প্রথম টি-টোয়েন্টি দলীয় সংগ্রহের ৩০০ এর গণ্ডি পেরিয়েছে।