মহেন্দ্র সিং ধোনি, দ্য আনটোল্ড স্টোরি – সিনেমায় বেশ বিখ্যাত একটা ডায়লগ রয়েছে যার বাংলা করলে অনেকটা দাঁড়ায়, মাহি মারছে। চলতি আইপিএল বারবার সেই ডায়লগ খানা মনে করিয়ে দিচ্ছেন সবাইকে; কেননা যতবারই মহেন্দ্র সিং ধোনি বাইশ গজে নামছেন ততবারই বাউন্ডারির মারে উৎসবের জোয়ার বইয়ে দিয়েছেন ভক্ত-সমর্থকদের মাঝে।
ব্যতিক্রম হয়নি ওয়াংখেড়েতেও, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে তাঁদের উঠোনে স্রেফ ৪টি বল খেলার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। তাতেই হাঁকিয়েছেন টানা তিন তিনটি ছয়, শেষ বলে দৌড়ে নিয়েছেন জোড়া রান। সবমিলিয়ে চার বলে ২০ রান – স্ট্রাইক রেট বরাবর ৫০০! অবিশ্বাস্য কিংবা অতিমানবীয়?
ধোনি যখন ব্যাট করতে আসেন তখন প্রশ্ন ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের দলীয় সংগ্রহ ২০০ এর কত কাছে যাবে। এমন প্রশ্নে তিনি বোধহয় মুচকি হেসেছিলেন; তাই তো লং অফ, ডিপ মিড উইকেট আর ফাইন লেগ দিয়ে ছয় মেরে ২০০ রানের গন্ডিই পেরিয়ে গিয়েছেন এক পলকে। তাতেই সব লাইমলাইট চলে এসেছে তাঁর ওপর।
অবশ্য এই কিংবদন্তির ক্যামিওর আগে লাইমলাইট ছিল শিষ্য শিভাম দুবের ওপরে। দুর্দান্ত ধারাবাহিক এই তরুণ পুরো আসর জুড়ে যা করে চলছেন সেটা বোধহয় ভাষায় বর্ণনা করার মত নয়। যখন যেভাবে তাঁকে প্রয়োজন হয়েছিল দলের, তখন সেভাবেই হাজির হয়েছেন তিনি – পারফরম করেছেন দুই হাত খুলে।
সবশেষ মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ৩৮ বলে ৬৬ রানের দুর্ধর্ষ এক ইনিংস খেলেছেন এই ব্যাটার। অন্যদিনের মত আজ খুব বেশি ছয় আসেনি তাঁর ব্যাট থেকে, দশটি চারের বিনিময়ে দুইটি ছয় মেরেছেন। যদিও তাতে কিই-বা আসে যায়, কাজের কাজটা তো হয়ে গিয়েছে। তাঁকে পথের সারথী বানিয়েই এতটা দূর আসতে পেরেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
এদিন শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন এই বাঁ-হাতি; পান্ডিয়াকে টানা তিন বলে মেরেছিলেন তিন চার। এরপর বাকি বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন তিনি, মাত্র ২৮ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। ‘ইম্প্যাক্ট সাব’ হিসেবে প্রতি ম্যাচেই ইম্প্যাক্টফুল পারফরম্যান্স করে যাচ্ছেন দুবে, আগামী দিনেও তাঁর এমন রূপ দেখতে চাইবে সমর্থকেরা।