নিজের দিনে বরাবরই ভয়ংকর শরিফুল ইসলাম। মিরপুরে তো প্রায় একা হাতেই প্রতিপক্ষকে গুড়িয়ে দিলেন ৮৮ রানে। নিজে নিলেন চার উইকেট। অথচ, শরিফুল চাইলেই এই ঝড়টা তুলতে পারতেন খোদ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল)।
লখনৌ সুপার জায়ান্টস দলে খেলার প্রস্তাব ছিল তাঁর জন্য। কিন্তু খেলতে পারেননি বিসিবির বেঁধে দেওয়া সময়সীমার কারণে। লখনৌ বড় সময়ের জন্য চেয়েছিল শরিফুলকে। কিন্তু, আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজ মাথায় রেখেই শরিফুলকে বড় সময়ের জন্য ছাড়তে নারাজ ছিল দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
তাই, সুযোগ পেয়েও আইপিএল মাতাতে পারলেন না এই সময়ে দেশের অন্যতম সেরা এই পেসার। একই ঘটনা গত কয়েক মৌসুম ধরে তাসকিন আহমেদের সাথেও ঘটেছে। এবার বিসিবির অদ্ভুত এই নীতির শিকার হলেন শরিফুল।
যদিও, শরিফুল নিজে এই বাস্তবতা মেনে নিয়েছেন। অন্তত মুখে সেটাই বললেন। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ চলার মাঝেই একটা স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলে এই আইপিএলের প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন তিনি।
শরিফুল বলেন, ‘লখনৌ থেকে আমাকে এসএমএস করেছিল। তাঁরা আমাকে চাচ্ছিল। কিন্তু, এনওসির টাইমটা খুব কম ছিল। তাই লখনৌ আর সেভাবে রেসপন্স করেনি। যদি, বিসিবির কাছ থেকে পুরো এনওসি পেতাম, তাহলে খেলার সুযোগ থাকত। আর আমাদের যেহেতু জিম্বাবুয়ে সিরিজ সামনে, তাই সেভাবেই এনওসি দেওয়া হয়েছে।’
তবে, ভবিষ্যতে আইপিএল খেলার আগ্রহটা বাঁচিয়ে রাখছেন শরিফুল। তিনি বলেন, ‘ইনশাল্লাহ, ইচ্ছা আছে। যেভাবে যাচ্ছে, সেভাবে সব কিছু হলে একদিন নিশ্চয়ই খেলতে পারব, যদি জাতীয় দলের খেলা না থাকে। আশা আছে সুযোগ পেলে ভাল কিছু করব।’
শুধু শরিফুল নয়, জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে মুস্তাফিজকেও। অথচ, আইপিএলে তিনি আছেন দারুণ ফর্মে। শরিফুুলের জন্য এখানে ফিটনেসটাও একটা ইস্যু। তিনি তিন ফরম্যাটেই বিসিবির চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার। আইপিএলের জন্য ইনজুরি বা কোনো ফিটনেস-ফ্যাটিগ জনিত ইস্যু বিসিবি চায় না।
আবার একই সাথে এটাও ঠিক যে, ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে নিয়মিত ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলছেন শরিফুল। সেটা না খেলে আইপিএল খেললে তাঁর শরীরের ওপর চাপ কমত।
আর জিম্বাবুয়ের মত দলের বিপক্ষে দেশের মাটিতে খেলতে মুস্তাফিজ বা শরিফুল – কাউকে ছাড়াই বাংলাদেশ জয়ের স্বপ্ন দেখতে পারে। সেক্ষেত্রে দু’জনকেই আইপিএলের জন্য ছেড়ে দিলে সেটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশের বড় প্রস্তুতির জায়গা হতে পারত। কিন্তু, এই সহজ কথাটা বিসিবি আর বুঝল কোথায়ং