মানুষের চোখ ফাঁকি দেয়া গেলেও প্রযুক্তির চোখ ফাঁকি দেয়া অসম্ভব। ঠিক যেমনটা হয়েছে কাইরেন পোলার্ড আর টিম ডেভিডের ক্ষেত্রে। তাঁদের অপরাধ ধরা পড়েছে প্রযুক্তির চোখে। পেয়েছেন শাস্তি, গুনেছেন জরিমানা।
১৮ এপ্রিল মুলানপুরে চলছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স আর পাঞ্জাব কিংসের ম্যাচ। সেখানেই ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন মুম্বাইয়ের ব্যাটার টিম ডেভিড এবং কোচ কাইরেন পোলার্ড।
জরিমানা গুণেছেন নিজেদের ম্যাচ ফি’র ২০ শতাংশ। ম্যাচের একটি ভাইরাল ভিডিওর পরে এই জরিমানা করা হয়। বিতর্কের জন্ম দেয় সেই ভিডিও। যেখানে মুম্বাইয়ের খেলোয়াড়েরা এবং ডাগআউটে থাকা স্টাফরা বেআইনিভাবে আম্পায়ারের কাছে রিভিউ চায়।
শনিবার আইপিলের একটি প্রেস রিলিজে বলা হয়, ডেভিড এবং পোলার্ড আইপিএলের আচরণবিধির ধারা ২.২০ এর অধীনে একটি লেভেল ১ অপরাধ করেছেন। ডেভিড এবং পোলার্ড প্রত্যেককে তাদের নিজ নিজ ম্যাচ ফি’র ২০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে।
আচরণবিধির লেভেল ১ লঙ্ঘনের জন্য, ম্যাচ রেফারির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত এবং বাধ্যতামূলক। দুজনেই তাঁদের অপরাধ স্বীকার করেছেন এবং ম্যাচ রেফারির দেয়া সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। মুম্বাইয়ের ইনিংসের ১৫ তম ওভারে, আরশদীপ সিংয়ের একটি ডেলিভারি অফ স্টাম্পের বাইরে ছিল এবং যা লাইনের খুবই কাছাকাছি।
২২ গজে তখন সুরিয়াকুমার যাদব ৪৭ বলে ৬৭ রানে ব্যাট করছিলেন। তিনি যদিও ব্যাটে-বলে সংযোগ ঘটানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে অনফিল্ড আম্পায়ার সেটাকে স্বাভাবিক ডেলিভারিই বলে মনে করেছিলেন।
কিন্তু টিভি ক্যামেরায় দেখা গেছে মুম্বাইয়ের প্রধান কোচ মার্ক বাউচার, সুরিয়াকুমারকে ইশারা করছেন যে এটি একটি ওয়াইড ডেলিভারি ছিল। যার ফলে ডেভিড এবং পোলার্ড ডানহাতি ব্যাটারকে রিভিউ নেয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
তবে, এমনটা করা আইপিএলের নিয়ম অনুসারে অবৈধ। মুম্বাইয়ের দেয়া ১৯৩ রান তাড়া করতে গিয়ে ১৮৩ রানে অলআউট পাঞ্জাব। মুম্বাইয়ের কাছে পাঞ্জাব হেরে যায় নয় রানে।
ম্যাচের পর পাঞ্জাবের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক স্যাম কুরান বলেন, ‘এভাবে জয়ের দ্বার প্রান্তে যেয়ে ম্যাচ হেরে যাওয়া খুবই হৃদয়বিদারক ঘটনা।’
নিজ দল সম্পর্কে পাঞ্জাবের এই অলরাউন্ডার আরো বলেন, ‘এই দলটি (পাঞ্জাব) প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলা খেলতে পছন্দ করে। কাছাকাছি যেতে পেরেও ভালো লাগছে, আশুতোষকে ধন্যবাদ… আশা করি আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচগুলো আগামীতে জিততে পারব এবং জয়ের ধারা ফিরে পাব।’