ভাগ্যের দুয়ার যেন খুলছেই না বিরাট কোহলির জন্য। সম্প্রতি কলকাতা নাইট রাইডার্সে বিপক্ষে বিতর্কিত বলে আউট হয়ে সাঝঘরে ফেরেন তিনি। সেই ম্যাচও ১ রানে হেরে যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।
কলকাতার দেয়া ২২৩ রান তাড়া করতে গিয়ে ৭ বলে ১৮ রান করে আউট হন কোহলি। তৃতীয় ওভারে হার্ষিত রানার হাই ফুল টসে ক্যাচ তুলে দেন ঠিক বোলারের হাতেই। আপাত দৃষ্টিতে নো-বল মনে হলেও প্রযুক্তির চোখে সেটি স্বাভাবিক বলই ছিল।
টিভি আম্পায়ার মাইকেল গফ রিভিউ করেন যে ডেলিভারিটি উচ্চতার জন্য বৈধ কিনা। নতুন হক-আই বল ট্র্যাকিং প্রযুক্তি অনুসারে, বলটি ক্রিজে সোজা থাকলে মাটি থেকে ০.৯২ মিটারে উঁচুতে ব্যাটারকে অতিক্রম করত। আবার কোহলির কোমরের উচ্চতা ১.০৪ মিটার। অর্থাৎ তিনি যদি ক্রিজেই থাকতেন, তবে বলটি তার কোমরের নিচ দিয়ে চলে যেত।
এই সিদ্ধান্তে চরম অসন্তুষ্ট ছিলেন কোহলি। নন-স্ট্রাইকার ফাফ ডু প্লেসিসের সাথে মাঠের আম্পায়ারের কাছে তাঁর অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তাঁর মতে, উচ্চতার জন্যেই এটি নো-বল হওয়া উচিত ছিল।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) এই মৌসুমে ব্যাটার পপিং ক্রিজ অতিক্রম করার সময় বলের উচ্চতা পরিমাপ করার প্রযুক্তি চালু করা হয়েছে। যদি বলের উচ্চতা ব্যাটারের কোমরের উচ্চতার চেয়ে বেশি হয়, তাহলে তা নো-বল ঘোষণা করা হয়। অন্যথায় সেটিকে স্বাভাবিক ডেলিভারি হিসেবেই গণ্য করা হবে। এক্ষেত্রে কোহলি যদি তাঁর ক্রিজেই থাকতেন, তবুও তা ০.১২ মিটার নিচ দিয়ে যেত।
ম্যাচের পর ব্যাঙ্গালুরুর অধিনায়ক ডু প্লেসিস বলেন, ‘অবশ্যই নিয়ম নিয়মই। বিরাট এবং আমি তখন ভেবেছিলাম, সম্ভবত বলটি তার কোমরের চেয়ে বেশি উপর দিয়ে গিয়েছিল। আমার ধারণা তারা পপিং ক্রিজে এটি পরিমাপ করেছে।’
আম্পয়ারের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, ‘ঐ পরিস্থিতিতে, সবসময়ই একটি দল থাকবে যারা খুশি হবে এবং আরেকটি দল থাকবে, যারা মনে করবে এটি একেবারেই সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল না। কিন্তু ক্রিকেট ঠিক এভাবেই কাজ করে।’