টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাঠে গড়াতে আছে আর মাত্র এক মাস। তাই তো সব দেশের ক্রিকেট বোর্ড ব্যস্ত সময় পার করছে দল গোছাতে। সাবেক ক্রিকেটাররা জানাচ্ছেন তাঁদের নিজেদের মতামত।
তৈরি করছেন সম্ভাব্য একাদশ। এক্ষেত্রে বাদ যায়নি পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ওয়াকার ইউনুসও। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ চলাকালেই ১৫ জন ক্রিকেটার নিয়ে তিনি সাজালেন পাকিস্তানের সম্ভাব্য দল।
তাঁর নির্বাচিত এই দলে বাদ যায়নি ইনজুরিতে পড়া মোহাম্মদ রিজওয়ান, হারিস রউফ, আজম খানও। শক্তিশালী টপ অর্ডারের এই দলে ঠাই পেয়েছেন সাইম আইয়ুব, ফখর জামান, উসমান খান এবং অধিনায়ক বাবর আজম। টি-টোয়েন্টি মানেই রানের খেলা। তাই হয়তো শক্তিশালী টপ অর্ডারে বেশী মনোযোগ দিয়েছেনন পাকিস্তানের এই কিংবদন্তী ক্রিকেটার।
তিনি অলরাউন্ডারের জন্য স্পিন-অলরাউন্ডারের দিকেই বেশি ঝুঁকেছেন। সেখানে জায়গা মিলেছে শাদাব খান, ইফতেখার এবং ইমাদ ওয়াসিমের ফর্মে থাকা অলরাউন্ডারদের। কব্জির মোচড়ে বল করার জন্য রেখেছেন আবরার আহমেদ এবং উসামা মীরকে। তাদের একেক ঘূর্ণিতে যেন কাবু হয়ে যায় প্রতিপক্ষের ব্যাটাররা।
আবার পেস বোলিংয়ের ক্ষেত্রে তিনি গতির পাশাপাশি অভিজ্ঞতাকেও প্রাধান্য দিয়েছেন। সেখানে তিনি রেখেছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হারিস রউফ এবং সদ্য অবসর থেকে ফিরে আসা অভিজ্ঞ মোহাম্মদ আমিরকেও।
তবে, তাঁর এই দলে জায়গা হয়নি আব্বাস আফ্রিদি এবং জামান খানের। যদিও এই দুই তরুণের উভয়ই খেলছেন পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে।
বিশ্বকাপের প্রস্তুতি বেশ ভালভাবেই নিচ্ছে পাকিস্তান। সম্প্রতি কাকুলে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ১৫ দিনের ফিটনেস ক্যাম্প করে পাকিস্তানের একটি দল। আর তাঁর পরেই নিউজিল্যান্ড সিরিজ। এখান থেকেই বিশ্বকাপের সদস্যদের খুঁজে নিবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তাই বোঝাই যাচ্ছে বিশ্বকাপের স্বাদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পাকিস্তান।