২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত পাঞ্জাব কিংসের স্কোয়াডে ছিলেন শাহরুখ খান; যদিও এসময় বলার মত তেমন কিছুই করতে পারেননি। কিন্তু ২০২৪ সালের মিনি নিলামে ঠিকই কাড়াকাড়ি হয়েছে তাঁকে নিয়ে, শেষপর্যন্ত ৭.৪ কোটি রুপিতে গুজরাট টাইটান্স কিনে নিয়েছিল। দেরিতে হলেও দলটির ভরসার প্রতিদান দিয়েছেন তিনি, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে করেছেন দারুণ পারফরম্যান্স।
চলতি আইপিএলে এর আগে চার ম্যাচ মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছিলেন এই ব্যাটার, তবে কোনবারই রান পাননি। অবশ্য টিম ম্যানেজম্যান্ট আস্থা হারায়নি, ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে আবারো একাদশে রাখা হয় তাঁকে। এবার আর নিরাশ হতে হয়নি, বাইশ গজে প্রতিভার প্রমাণ দিতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি; টপ অর্ডারের ব্যর্থতার দিন ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন।
এদিন ৩০ বলে ৫৮ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস খেলেছেন এই ডানহাতি; তিন চারের সঙ্গে পাঁচ ছয়ের মারে সাজানো ইনিংসটিতে যেভাবে ব্যাট করেছেন সেটি উপভোগ করার মতই ছিল। আর ইম্প্যাক্টের কথা আলাদা করে বলার দরকারও নেই, তাঁর এমন পারফরম্যান্সের কারণেই শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়েছিল গুজরাট।
ঋদ্ধিমান সাহা, শুভমান গিল কেউই সুবিধা করতে পারেননি ফাফ ডু প্লেসিসদের বিপক্ষে। গিল যখন আউট হন তখন ৬.৪ ওভারে মাত্র ৪৫ রান জমা হয়েছিল স্কোরবোর্ডে। সেসময় উইকেটে আসেন তিনি, জুটি গড়েন সাই সুদর্শনের সঙ্গে। তাঁদের সাবলীল ব্যাটিংয়ে ধীরে ধীরে ম্যাচে ফিরে আসে টিম টাইটান্স।
বিশেষ করে শাহরুখ ছিলেন আত্মবিশ্বাসী; একপ্রান্তে সুদর্শন বুঝেশুনে খেললেও তিনি আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন বোলারদের ওপর। ত্রয়োদশ ওভারে ক্যামেরন গ্রিনকে দুই চার ও এক ছয় হাঁকানোর মধ্য দিয়ে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ হয় তাঁর। আসলে, সাত নম্বরে খেলিয়ে লম্বা একটা সময় তাঁকে পুরোপুরি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়েছে দলগুলো; মিডল অর্ডারে তাঁকে খেলানো তাই প্রশংসনীয় সিদ্ধান্ত ছিল।
ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটার এই তরুণ, সেটা নি:সন্দেহে বলাই যায়। তবে আইপিএলের মত মঞ্চে এখনো নিজেকে সেই অর্থে প্রমাণ করতে পারেননি। ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে পারফরম করাটা হয়তো তাঁকে অনুপ্রেরণা দিবে ধারাবাহিক হওয়ার; এখন দেখার বিষয় সেই অনুপ্রেরণা কতটুকু গ্রহণ করতে পারেন তিনি।