টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া নিয়ে কোন চাপ ছিল না ফাফ ডু প্লেসিসের মাথায়। চাপ থাকবেই বা কিভাবে, অনেক আগেই তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন তিনি। কিন্তু নির্ভার থেকেও চলতি আইপিএলের ইম্প্যাক্টফুল পারফরম করতে পারেননি, অন্যান্যবারের মত তাঁর ব্যাটে দেখা যায়নি রানের ফোয়ারা।
যদিও কাগজে কলমে এই ব্যাটার অফ ফর্মে আছেন সেটা বলার সুযোগ নেই। ৩০ এর বেশি ব্যাটিং গড়, স্ট্রাইক রেট ১৭০ এর বেশি আর সবমিলিয়ে মোট সংগ্রহ ৩৬১ রান – চলতি আইপিএলে এখন পর্যন্ত তাঁর পারফরম্যান্সের পরিসংখ্যান এটি। তবে এত এত রান করলেও ম্যাচ পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজনের সময় জ্বলে উঠতে তেমন একটা দেখা যায়নি তাঁকে।
সর্বশেষ দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে সাত বলে ছয় রান করে আউট হয়েছেন এই ডানহাতি। পরপর দুই ম্যাচে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন তিনি, একজন অধিনায়কের কাছে যা অপ্রত্যাশিত। অথচ প্লে-অফের ক্ষীণ সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে দিল্লিকে হারানোর কোন বিকল্প ছিল না রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর সামনে।
রুতুরাজ গায়কড় এবার প্রথমবারের মত অধিনায়কত্ব গ্রহণ করেছেন। কিন্তু তাঁর শরীরী ভাষায় কোন চাপ দেখা যায় না, সাহস নিয়েই পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে পারফরম করে যাচ্ছেন তিনি। প্রতি ম্যাচে যা-ই করেন, সেখানে সংখ্যার চেয়ে ইম্প্যাক্টের গুরুত্ব থাকে বেশি। ঠিক এ ব্যাপারটাই অনুপস্থিত ডু প্লেসিসের এবারের পারফরম্যান্সে।
নেতৃত্বের কাঠি হাতে এই প্রোটিয়া আরো অনেক কিছু করতে পারতেন। ব্যাট হাতে দলকে এগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি মাঠেও সতীর্থদের অনুপ্রেরণা দেয়ার ক্ষেত্রে আরো সক্রিয় রূপে আবির্ভূত হওয়া উচিত ছিল তাঁর।
ব্যাঙ্গালুুরু ইতোমধ্যে বাদ পড়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছে। টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে একটা জয় বাদ দিলে টানা হারের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল তাঁদের। সেটার দায় এই তারকার ওপরেও বর্তায়, এখন দেখার বিষয় এমন অবস্থা থেকে কিভাবে ঘুরে দাঁড়ান তিনি।