ভিসা জটিলতায় আটকে গিয়েছিল মোহাম্মদ আমিরের আয়ারল্যান্ড সফর। সংশয় ছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে পারবেন কি না। তবে সব সংশয় ভেঙ্গে তিনি দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে যুক্ত হন দলের সাথে। কিন্তু আহামরি কোনো পার্থক্য আসেনি তাঁর সংযুক্তিতে। সেই ম্যাচে আমির করেছেন খরুচে বোলিং।
ডাবলিনে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয় পাকিস্তান এবং আয়ারল্যান্ড। টসে জিতে আয়ারল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান। তবে টসে জেতার ফায়দা ঠিকঠাক তুলতে পারেনি বাবর আজমের দল। ২০ ওভারে পাকিস্তানের জন্য ১৯৩ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দেয় পল স্টার্লিংয়ের দল। আইরিশ ব্যাটারদের বল করেত গিয়ে রীতিমত খাবি খায় পাকস্তানি বোলাররা। তিন ম্যাচের সিরিজে ইতিমধ্যেই ১-০ তে এগিয়ে আছে আয়ারল্যান্ড।
ইংল্যান্ডে ২০১০ সালে স্পট-ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন আমির। ভুলের মাশুল হিসেবে মাঠের বাইরে ছিলেন পাঁচটি বছর। শাস্তি থেকে ফিরেই পাকিস্তানের হয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতেন ২০১৭ সালে। তবে ২০২০ সালেই ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন তিনি। দলের প্রয়োজনে তিন বছর আট মাসের ব্যাবধানে আবারো ফিরে আসেন তিনি। তাঁর অবসর ভাঙেন ২০২৪ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমে।
তাঁর প্রত্যাবর্তন ভক্তদের মনে যতটা না আশা জাগিয়েছিল, দিন যাওয়ার সাথে সাথে সেই আশা হতাশায় পরিণত হচ্ছে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আহামরি কোনো বোলিং করতে পারেননি তিনি। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১১ ইকোনমিতে খরচ করেছেন ৪৪ রান। আর তুলে নেন মাত্র একটি উইকেট।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রত্যাবর্তনের সিরিজে রক্ষণাত্মক বোলিং করে সফল হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আয়ারল্যান্ডের পেসারদের আদর্শ ভূমিতে দাঁড়িয়ে মলিন বোলিং করে গেছেন তিনি। নানা জটিলতার শেষটায় সুখকর কোন স্মৃতি অন্তত যুক্ত হয়নি আমিরের। বরং শঙ্কা বাড়িয়েছে তার এমন ফর্মহীনতা।
তাই তো আমিরকে নিয়ে আসন্ন বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বোলিং লাইন আপ কতটা শক্তিশালী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। বিশ্বকাপের আগেই আবারো নিজের ফর্ম ফিরিয়ে আনতেই হবে আমিরকে। কেননা পাকিস্তানের কোটি কোটি সমর্থক গত বিশ্বকাপের শোক ভুলে শিরোপার স্বাদ পেতে মরিয়া হয়ে আছে।