মোহাম্মদ রিজওয়ান সব পারেন। তিনি ১৭০ স্ট্রাইকরেটে হাফ সেঞ্চুরি করতে জানেন। তিনি বিপর্যয়ের মুখে দলের হাল ধরতে পারেন। তিনি পরিস্থিতি পড়তে দারুণ পটু। ঠিক সে কারণেই সম্ভবত এতটা সফল তিনি। ঠিক এ কারণেই তিনি এতটা ধারাবাহিক।
পাকিস্তান দলের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ মোহাম্মদ রিজওয়ান। নিজের সেই জায়গাটা তিনি নিজেই তৈরি করে নিয়েছেন। ধারাবাহিকভাবে ব্যাট হাতে আগলে রাখছেন তিনি পাকিস্তান দলকে। তার ব্যাটে ভর করে জয়ের তরী বন্দরে ভেড়ে। তার দৃঢ়তায় খাদের কিনারা থেকে উঠে দাঁড়ায় দল।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেই রিজওয়ান নিজের দক্ষতার দারুণ প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। প্রথম ম্যাচে দূর্ভাগ্যজনকভাবে রানআউট হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে ঠিকই অর্ধশতক তুলে নেন। কিন্তু অর্ধশতক তুলেই ক্ষান্ত থাকেননি। ১৯৪ রানের টার্গেটে দল শুরুতেই পরেছিল বিপাকে। সেই বিপর্যয় সামলে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন।
ইনিংস বিল্ডআপের কাজটা দারুণভাবে সামলেছেন তিনি। তৃতীয় ম্যাচ আগ্রাসী রিজওয়ানের আবার মিলেছে দেখা। ওপেনিংয়ে নামা সাইম আইয়ুবের হাতখুলে খেলার লাইসেন্স থাকে। আরেকপ্রান্ত আগলে রাখার দায়িত্ব থাকে রিজওয়ানের উপর। আইয়ুবের বিদারের পর বাবর আজমকে নিজের দায়িত্ব সপে দেন রিজওয়ান। আর নিজে হাতখুলে খেলতে শুরু করেন।
১৭০ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট চালিয়ে মাত্র ৩০ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন। এরপর অবশ্য আবার নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে বাবর আজমকে ছেড়ে দেন মঞ্চ। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে বাবরও মারকাটারি ব্যাটিং করতে শুরু করেন। এই দুই ব্যাটারের কল্যাণে আরও একটি জয়ের ভীত তৈরি হয়ে যায় পাকিস্তানের।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরেছিল পাকিস্তান। সেই ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন রিজওয়ান। কিন্তু ব্যাট হাতে রিজওয়ান রান পাওয়া মাত্রই আবারও জয়ের ধারায় ফেরে পাকিস্তান। এমনকি সিরিজও জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। সিরিজ জয়ের দিনে নিজের ক্যারিয়ারের ২৮ তম হাফসেঞ্চুরি করে বিদায় নেন রিজওয়ান।
তাতে করে তার টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং গড় পৌঁছে যায় ৫০.৪৭ এ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে এমন ধারাবাহিক রিজওয়ান পাকিস্তানের জন্যে স্বস্ত। টপঅর্ডারে তার উপরই থাকবে আস্থা। তার ব্যাটে ভর করেই বিশ্বজয়ের স্বপ্ন চাইলেই বুনতে পারে পাকিস্তান।