দানবীয় আজম এখন ৩০০’র নিচেই নামছেন না!

নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম নয় ম্যাচ খেলে কখনো এক ইনিংসে ৩০ রানও করতে পারেননি আজম খান। এমনকি সবমিলিয়ে তাঁর মোট সংগ্রহ ছিল ৩৪ বলে ২৯ রান! সেসময় স্রেফ ৮৫ স্ট্রাইক রেট আর ৪.১৪ গড়ে ব্যাট করেছিলেন তিনি। তবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত পাওয়া গেলো তাঁর ব্যাটে; পর পর দুই ম্যাচে ছোটখাটো ক্যামিও খেলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) সৌজন্যে এই ব্যাটার উঠে এসেছিলেন লাইমলাইটে। লোয়ার মিডল অর্ডারে ঝড় তোলার সামর্থ্য দেখিয়ে নজর কেড়েছিলেন নির্বাচকদেরও। শুধু পিএসএল নয়, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (সিপিএল) ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করেছিলেন তিনি। কিন্তু জাতীয় দলে সুযোগ পেতেই তাঁর বিধ্বংসী রূপ হারিয়ে গিয়েছিল, ব্যর্থতার বোঝা চেপে ধরেছিল তাঁকে।

তবে আশার কথা, সব চাপ পাশে সরিয়ে পারফরম করতে শিখছেন এই তরুণ। সবশেষ ম্যাচে ছয় বলে ১৮ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি; দুই ছয়ের সঙ্গে এক চারে সাজানো ইনিংসটি সংখ্যাতত্ত্বে ছোট হলেও তাঁর ক্রিকেট জীবন বিবেচনায় বড্ড গুরুত্বপূর্ণ।

এদিন ১৭৯ রান তাড়া করতে নেমে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটে ভর করে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল পাকিস্তান। আজম খান যখন বাইশ গজে আসেন তখন আর মাত্র ২৪ রান প্রয়োজন ছিল, প্রয়োজনীয় ২৪ রানের মধ্যে একাই ১৮ রান আদায় করে এরপর জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।

প্রায় একই ঘটনা ঘটেছিল আগের ম্যাচে। ১৯৩ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে হতো পাকিস্তানকে। কঠিন কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন ফখর জামান ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু শেষদিকে বাইশ গজে এসে সব আলো কেড়ে নিয়েছেন দীর্ঘদেহী এই হার্ডহিটার – স্রেফ ১০ বলে ৩০ রান করেছিলেন তিনি।

প্রতিপক্ষ যেই হোক ‘ব্যাক টু ব্যাক’ দুইটি ঝড়ো ইনিংস খেলার পর নি:সন্দেহে হারানো আত্মবিশ্বাস অনেকটাই ফিরে পাবেন এই তারকা। এখন সেই আত্মবিশ্বাস কাজে লাগিয়ে দারুণ কিছু করে দেখানোর পালা – সামনে বিশ্বকাপই, ভরসার প্রতিদান দেয়ার জন্য এর চেয়ে ভাল মঞ্চ আর হতে পারে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link