ম্যাক্স ও’ডউড, ডাচ জাহাজের অদম্য নাবিক

ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস, ক্রিকেট মাঠে ক্যাচ লুফে নেয়ার সুযোগ হাতছাড়া করা অমার্জনীয় অপরাধ, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সেই অপরাধ করেছে নেপাল। আর এমন অপরাধের উপযুক্ত শাস্তি দিতে একটুও ভুল করেননি ম্যাক্স ও’ডউড, কুড়িয়ে পাওয়া জীবনের সদ্ব্যবহারই করেছেন তিনি।

১০৭ রানের পুঁজি নিয়েই তখন কঠিন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলো নেপাল। একের পর উইকেট তুলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের করে নেয়ার পথেই ছিল তাঁরা, তবে একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন এই ব্যাটার। কিন্তু ব্যক্তিগত ৪০ রানের মাথায় বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে বসেন তিনি, তবে ভাগ্যদেবী সহায় ছিল তাঁর প্রতি; না হলে দলকে খাদের কিনারায় রেখেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হতো তাঁকে।

এদিন ৪৮ বলে অপরাজিত ৫৪ রানের ইনিংস খেলেছেন এই ডানহাতি। সংখ্যা দেখে হয়তো তাঁর ইনিংসকে বড্ড গড়পড়তা মনে হবে। তবে নেপালের বিপক্ষে ডাচদের জয় পাওয়া সম্ভবই হতো না তিনি এমন পারফরম্যান্স না করলে। রান তাড়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দলকে পথ দেখিয়েছে তাঁর ব্যাটিং।

সতীর্থরা যখন আসা যাওয়ার মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন এই ওপেনার তখন শক্ত হাতে হাল ধরেছিলেন দলের। তাড়াহুড়ো না করে বুঝেশুনে ব্যাট চালিয়েছেন, নাগালে থাকা রানরেটকে এক মুহুর্তের জন্যও নাগালের বাইরে যেতে দেননি। যদিও তাঁর বীরত্ব ম্লান হয়ে যেত যদি আঠারোতম ওভারে ক্যাচটা লুফে নিতেন লং অফে দাঁড়িয়ে থাকা রোহিত পাউডেল।

অবশ্য ও’ডউড চেষ্টা করেছেন, সাহস দেখিয়েছেন আর ভাগ্য তাঁর পাশে থাকবেন না সেটা হয় না। এদিন শুধু দলকেই জেতাননি তিনি, বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের হয়ে সর্বোচ্চ হাফ-সেঞ্চুরি হাঁকানোর তালিকায় নিজের অবস্থান আরও মজবুত করেছেন। এখন পর্যন্ত পাঁচ বার পঞ্চাশ রানের গন্ডি পেরিয়েছেন এই ব্যাটার, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিন বার পেরিয়েছেন স্টিফেন মাইবুর্গ।

সত্যিকার অর্থেই এই ডাচ তারকা বড় মাপের ক্রিকেটার, হয়তো বিশ্ব ক্রিকেটে লাইমলাইট পান না তবে নিজের কাজটা ঠিকই করে যান; জ্বলে ওঠেন দলের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় মুহূর্তে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link