কত তো জলঘোলা হল। ব্যাটার বাবর আজমকেও প্রশ্নবিদ্ধ করা হল। তবে সবচেয়ে প্রয়োজনের মুহূর্তে তিনি আবারও দাঁড়িয়ে গেলেন। বিপর্যয় থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার রাস্তাটা তিনি দেখিয়ে দিলেন। এমন সব দিনের জন্যেই তো বাবর থাকেন অপেক্ষা।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের প্রথম ম্যাচ। যুক্তরাষ্ট্রের নিমন্ত্রণে প্রথমে ব্যাটিংয়ে বাবর আজমের দল। স্কোরবর্ডে ২৬ রান তুলতেই তিন ব্যাটার ফিরে গেছেন সাজঘরে। মোহাম্মদ রিজওয়ানকে দিয়ে শুরু, এরপর উসমান খান ও ফখর জামান বাবরকে একা করে রেখে যান বাইশ গজে।
আরও একবার নিঃসঙ্গ শেরপা হওয়ার প্রস্তুতিই নিচ্ছিলেন বাবর আজম। এদফা অবশ্য শাদাব খানের সঙ্গটা পেলেন। সেই ২৬ থেকে দলের সংগ্রহ বাড়িয়ে নিয়ে যেতে থাকেন বাবর ও শাদাব। আগ্রাসন অবশ্য দেখিয়েছেন শাদাব। যেহেতু দ্রুত উইকেটের পতন ঘটেছে, তাই বাবর অ্যাংকরিং রোলের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন।
সময়ে সময়ে তিনিও ব্যাট চালিয়েছেন। ৩টি চারের পাশাপাশি ২টি ছক্কাও হাকিয়েছেন। তবুও দিনশেষে ৪৪ রানে আউট হয়েছেন। ৪৩ বলে প্রায় ১০০ এর একটু বেশি স্ট্রাইকরেটের এই ইনিংসটি আবারও হয়ত সমালোচনার জন্ম দেবে। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনায় বাবরকে কাঠগড়ায় তুলবার যে বিশেষ কোন উপায়ও নেই।
কেননা জাসদ্বীপ সিংয়ের বলে বাবর আউট হওয়ার পর পাকিস্তানকে লড়াই করবার পুঁজি এনে দিয়েছে টেলএন্ডাররা। দ্রুত তিন উইকেট পতনের পর বাবর যদি দলের হাল না ধরতেন তাহলে হয়ত আরও বহু আগেই পাকিস্তানের ইনিংস গুটিয়ে যেতে পারত। তাতে করে পাকিস্তানকে পড়ত হতো লজ্জার মুখে। সেই লজ্জা থেকে বাবরই বাঁচিয়েছেন পাকিস্তানকে।
তাছাড়া তিনিও জানেন যে পাকিস্তানের মিডল অর্ডার বেজায় নড়বড়ে। উসমান, ফখরদের মত আগ্রাসী তিনি চাইলেও হতে পারেননি। এভাবেই বহুবার অধিনায়ক বাবর বাঁচিয়েছেন পাকিস্তানের মান। এবারের বিশ্বকাপেও সেই ধারাই থাকছে অব্যাহত।