উত্তেজনায় লাগাম টানার কাজ আর যাই হোক রবি শাস্ত্রীর নয়। তিলকে তাল করায় ওস্তাদ ধারাভাষ্যকার বনে যাওয়া এই সাবেক কোচ ও ভারতীয় গ্রেট।
আর এ যে ভারত-পাকিস্তান লড়াই। তাও আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে। সেই খেলাটাও হচ্ছে এমন এক জায়গায় – যেখানে প্রবাসী উপমহাদেশিয় মানুষ বাদে ক্রিকেটের নামই শুনেছেন হাতে গোনা ক’জন।
আর এই সুযোগ হাতছাড়া কেনই বা করবেন শাস্ত্রী। তিনি টসের ঘোষণাকে রীতিমত শিল্পের পর্যায়েই নিয়ে গেলেন।
মহানাটকীয় সেই ঘোষণাকে যেন রীতিমত এক বক্তৃতাতেই রূপ দিলেন শাস্ত্রী। ব্লু কর্নার, গ্রিন কর্নার – তো ছিলই, সাথে বক্স অফিস-টফিস সহ-কত কি যে বলে ফেললেন।
পুরোটা সময় তাঁর দিকে তাকিয়ে থেকে হেসেছেন রোহিত শর্মা। বাবর আজমও তাই। প্রটোকল অনুযায়ী ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুনের তো অন্তত আর হাসার কথা না।
কিন্তু, তিনিও নিজেকে আটকে রাখতে পারেননি। হেসেছেন মিটিমিটি। এতসবের ভিড়ে আসলে, মূল আয়োজন যে টসের জন্য সেটাই ভুলতে বসেছিল সবাই।
রোহিত শর্মা তো এতটাই মজেছিলেন শাস্ত্রীর কথায়, যে তিনি টসের কয়েন কোথায়, সেটা কয়েক সেকেন্ডের জন্য ভুলেও গিয়েছিলেন। পরে অবশ্য পকেট হাতরে বের করেন।
অনুষ্ঠিত হয় টস। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠান পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। বৃষ্টির খেলা চলছিল তখনও।