বিড়ালের জীবন নয়টা। এটা স্রেফ মিথ হলেও, ঋষাভ পান্তের জীবন আসলে সাতটা। নিউ ইয়র্কে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে সেটাই প্রমাণিত হল। ছয় বার ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন, পাকিস্তানের ফিল্ডাররা ব্যর্থ হন। পাকিস্তান তাঁকে আউট করতে পারে সপ্তম চেষ্টায়।
এক মোহাম্মদ আমিরের বিপক্ষে এক ওভারেই তিনি চারটা সুযোগ দিয়েছেন পাকিস্তানকে। এর মধ্যে তিনটা ক্যাচ মিস। সেই সুযোগ গুলো কাজে লাগাতে পারলে পাকিস্তানকে আর আক্ষেপে পুড়তে হয় না।
পাকিস্তানি ফিল্ডারদের খানিক্ষণ ক্যাচিং প্র্যাকটিস করানোর পর খোলস ছেড়ে বের হতে শুরু করেন পান্ত। হারিস রউফের এক ওভারেই হাঁকান পর পর তিনটা চার। ইমাদ ওয়াসিমকে বাউন্ডারিতে পাঠাতে গিয়ে খেলেন নিজের ট্রেডমার্ক রিভার্স স্যুইপ।
শেষ অবধি পান্ত আউট হওয়ার আগে করেন ৩১ বলে ৪২ রান। আমিরের দ্বিতীয় ওভারে দিয়েছিলেন চারটি সুযোগ। আউট হন অবসর ভেঙে ফেরা এই পেসারের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই। তবে, আরও আগেই আউট হতে পারলে তাতে পাকিস্তানের দুর্ভোগ কিছুটা হলেও কমত।
এমনিতেই পান্তের ক্রিকেট ক্যারিয়ারটা আক্ষরিক অর্থে শেষ হয়ে গিয়েছিল। গেল বছর সড়ক দুর্ঘটনায় নিজের এমন দশা করেছিলেন যে, পা কেটে ফেলার শঙ্কা পর্যন্ত ছিল।
সেখান থেকে আবার নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে ক্রিকেট খেলবেন শীর্ষ পর্যায়ে, রান করবেন – ঋষাভ পান্তের জন্য সেটা ছিল স্বপ্নের মত এক ব্যাপার।
ঋষাব প্রায় অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। ফিরেছেন গেল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) দিয়ে। সেখানে পারফরম করে এবার ভারতের বিশ্বকাপ যাত্রার অন্যতম ভরসা তিনি।
প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ ছন্দে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত উইকেটে থেকে ভারতের জয় নিশ্চিত করেছেন। এবার পাকিস্তানের বিপক্ষেও ঝলসে উঠল তাঁর ব্যাট। ভাগ্যের সহায়তা তিনি পেয়েছেন বটে, কিন্তু ভাগ্য তো সাহসীদেরই সহায় হয়!