তিন ম্যাচে তিন জয় নিয়ে বি গ্রুপ থেকে সবার আগে সুপার এইটে চলে গেছে অস্ট্রেলিয়া। তাদের শেষ ম্যাচ রয়েছে তিন ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের দুই নম্বরে অবস্থান করা স্কটল্যান্ডের সাথে। ম্যাচটি অস্ট্রেলিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ না হলেও স্কটল্যান্ডের জন্য সুপার এইটে যাওয়ার শেষ লড়াই। তবে ম্যাচটির দিকে চোখ থাকবে ইংল্যান্ডের। কারণ এই ম্যাচের উপর নির্ভর করছে তাদের পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার টিকিট।
অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলার প্যাট কামিন্স বলছেন যে, ইংল্যান্ডকে ছিটকে দেওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেট রান রেটকে নিয়ে হেরফেরের করার কথা ভাববে না। তিনি বিশ্বাস করেন এ জাতীয় কৌশল স্পিরিট অফ ক্রিকেটের বিরুদ্ধে।
তবে ওমানের বিপক্ষে রেকর্ড জয়ে নেট রান রেটে স্কটল্যান্ডের থেকে এগিয়ে গেছে ইংল্যান্ড। তাই নেট রান রেটের হেরেফেরের হিসাব এখন আর নেই । নিজেদের শেষ ম্যাচে নামিবিয়াকে পরাজিত করতে পারলেই ৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে যাবে ইংল্যান্ড। তাই বি গ্রুপের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া স্কটল্যান্ডকে হারালেই পরবর্তী রাউন্ডে চলে যাবে ইংল্যান্ড।
নেট রান রেটের এই বিতর্কের জন্ম হয় সপ্তাহের শুরুতে। যখন অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলার জশ হ্যাজেলউড বলেন যে, সুযোগ পেলে ইংল্যান্ডকে ছিটকে দেওয়া চেষ্টা করবে অস্ট্রেলিয়া।
গত বছর লর্ডসে অ্যাশেজে জনি বেয়ারস্টোর স্ট্যাম্পিংকে ঘিরে স্পিরিট অফ ক্রিকেট বিতর্কের কেন্দ্রে ছিলেন প্যাট কামিন্স। তবে তিনি হ্যাজলউড এর মন্তব্য গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে না করেন। কামিন্স মনে করেন যে এটি এমন একটি কৌশল যা কখনই বিবেচনা করা হত না।
তিনি বলেন, ‘ আমি মনে করি আপনি যখন খেলতে নামেন, প্রতিবারই আপনার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেন। যদি তা না হয় তবে তা ক্রিকেটের চেতনার বিরুদ্ধে।’
হ্যাজলউডের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ আমি হ্যাজেলউডের সাথে কথা বলেছিলাম। সে এই বিষয় নিয়ে কিছুটা রসিকতা করেছিল। আমি মনে করি এটি প্রসঙ্গ থেকে কিছুটা সরে গেছে। আমরা সেখানে যাব এবং স্কটল্যান্ডের সাথে খেলব। আমার মনে হয় তারা টুর্নামেন্টে অনেক ভাল খেলছে। তবে অন্য কোনো কারণ আমাদের খেলার ধরণ পরিবর্তন করবে এমনটা কখনই হবে না। আমি সবসময় আক্রমণাত্মক মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামি, যেমনটা আমাদের বাকি খেলোয়াড়েরা নামে।’
তবে সুপার এইটে যাওয়া নিশ্চিত হওয়ায় এবং নেট রান রেটের কোনো প্রভাব না থাকায় স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে কিছু খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিতে পারে অস্ট্রেলিয়া। ক্যামরন গ্রিন, জশ ইংলিশ ও অ্যাশটন অ্যাগার এখনও বিশ্বকাপে একটি ম্যাচেও সুযোগ পাননি। তাই পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার আগে তিন জনেরই একাদশে খেলার একটি সুযোগ আছে।