সবাই বলাবলি করছে, এবারের ইউরোতে নাকি দেখা মিলবে নতুন এক স্পেনের। সম্ভবত মানুষের মুখে ভেসে বেড়ানো কথার সত্যতাই দেখা মিলল ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে। প্রথমার্ধেই ক্রোয়েটদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় আলভারো মোরাতার দল।
সাম্প্রতিক সময়ে স্পেন জাতীয় ফুটবলে এসেছে বহু পরিবর্তন। খেলোয়াড়ের সাথে সাথে খেলার ধরণের পরিবর্তনও হয়েছে পরিলক্ষিত। এই তো কিছুদিন আগে অবধি স্পেন খেলেছে পজিশন নির্ভর ফুটবল। টিকিটাকা ফুটবলের ধারকই ছিল যেন দলটি। নিজেদের পায়ে বল রেখে, ছোট ছোট পাসে আক্রমণ সাজানোই ছিল তাদের রণকৌশল।
ম্যানেজার লুই দে লা ফন্তে দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই ধারায় পরিবর্তন আনতে চেয়েছেন। প্রতিপক্ষকে খেলার সুযোগ দিয়ে, কাউন্টার অ্যাটাকের সাথে দ্রুত দুই উইং দিয়ে আক্রমণ নিয়ে হাজির হওয়া প্রতিপক্ষের ডি-বক্সের সামনে। খেলার ধরণের এই পরিবর্তনের জন্যে স্পেনকে অবশ্য নিকট অতীতে ধুকতেও হয়েছে বেশ।
তবে ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপের নিজেদের প্রথম ম্যাচে লা ফন্তের স্পেন যেন একটা বার্তা দিয়ে রাখল। শক্তিমত্তার বিচারে ক্রোয়েশিয়া প্রায় সমকক্ষ। সেই দলটাকে তারা হারিয়েছে ৩-০ গোলের ব্যবধানে। এক কাউন্টার থেকে দ্রুত বল পায়ে এগিয়ে যান আলভারো মোরাতা। বা-পায়ের প্লেসিং শটে গোলের দ্বার উন্মোচন করেন তিনি।
ঠিক একই কায়দায় আসে স্পেনের দ্বিতীয় গোল। ডিবক্সের ভেতরে ক্রোয়েট রক্ষণকে বোকা বানিয়ে গোল আদায় করে নেন ফ্যাবিয়ান রুইজ। বলে যোগান আসে মাঠের ডানদিকে থাকা লামিল ইয়ামালের কাছ থেকে। তখন ম্যাচের বয়স স্রেফ ৩২ মিনিট।
বদলে যাওয়া স্পেন সেখানেই থেমে থাকতে চায়নি। ম্যাচের প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে গোল ব্যবধান বাড়িয়ে ফেলেন ডানি কার্ভাহাল। লামিল ইয়ামালের সরাসরি ক্রসে কার্ভাহালের পায়ের আলতো টোকায় বল জালে জড়ায়। বিরতিতে যাওয়ার আগেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় লুকা মদ্রিচের দল।
যদিও দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরার বহু চেষ্টা করেছে ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু মার্ক কুকুরেল্লাদের রক্ষণ ভেদ করা যায়নি। এমনকি ম্যাচের ৮০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন ক্রোয়েট ফরোয়ার্ড ব্রুনো পেটকোভিচ। রিবাউন্ড হওয়া বল জালে জড়ালেও ভার জানায় তা বিধিসম্মত হয়নি। তাতে করে ৩-০ গোল ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্পেন। নতুন দিনের এক শুভ সূচনা।