ব্রিজটাউনে রশিদ খান তখন ধারালো ছুরির ন্যায় হয়ে উঠেছিলেন, একের পর এক ভারতীয় ব্যাটার কাটা পড়েছেন তাঁর তীক্ষ্ণ বোলিংয়ে। আর সেসময় দলের ত্রাতা হয়ে উঠেছেন সুরিয়াকুমার যাদব, টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ের নাম্বার ওয়ান ব্যাটার সবচেয়ে প্রয়োজনের সময়েই বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ভরসার কাঁধ। তাঁর অনবদ্য হাফসেঞ্চুরির কল্যাণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বড় সংগ্রহ পেয়েছে ভারত।
গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে অন্যতম ফ্লপ ক্রিকেটার ছিলেন এই ডানহাতি, সেরকম ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল চলতি বিশ্বকাপেও। প্রথম দুই ম্যাচে রান করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি, গুঞ্জন উঠেছিল বিশ্ব মঞ্চে খেলার চাপ নিতে পারেন না। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে ঠিকই সমালোচনার জবাব দেন।
ফর্মের ধারাবাহিকতা দেখা গিয়েছে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও, সুপার এইটের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ২৮ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেছেন এই ব্যাটার। পাঁচ চার ও তিন ছয়ে সাজানো ইনিংসটির সুবাদে বিপর্যয়ের মুখে পড়া ভারত পুনরায় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে পেরেছে।
বাইশ গজে এসেই এদিন উড়ন্ত ছন্দে থাকা রশিদকে দুই চার ও এক ছয় হাঁকিয়ে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দেন সুরিয়াকুমার। এরপর কেবল মোমেন্টাম ক্যারি করেছেন পুরোটা সময় জুড়ে। নিয়মিত বাউন্ডারির মারে রানের চাকা সচল রেখেছেন, কিন্তু অহেতুক ঝুঁকি নিতে গিয়ে দলকে বিপদে ফেলেননি।
সতেরোতম ওভারে ফজল হক ফারুকীর দুই বলে এক চার ও এক ছয় আদায় করেছিলেন তিনি; পরের বলে অবশ্য ছক্কার খোঁজ করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন লং অনে। যদিও ততক্ষণে কাজেরটা কাজ করে ফেলেছিলেন এই তারকা, ম্যাচের মোড় যখন আফগানদের দিকে ঘুরে যাচ্ছিলো তখন তাঁর কাউন্টার অ্যাটাক রক্ষা করেছে টিম ইন্ডিয়াকে।
টি-টোয়েন্টির বিশ্বসেরা ব্যাটার হিসেবে তাঁকে ঘিরে প্রত্যাশা সবচেয়ে বেশিই, সেই প্রত্যাশা তিনি মেটাতে কার্পণ্য করছেন না বটে। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের অফ ফর্মের মাঝে ভারতীয় সমর্থকদের স্বপ্নের সারথী হয়ে উঠেছেন ‘স্কাই’।