পর পর দুইটি অর্ধশতক, তাও আবার সুপার এইটের মঞ্চে। দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক-ব্যাটার কুইন্টন ডি কক যেন ধারণ করেছেন ভিন্ন এক রূপ। গ্রুপ পর্বের খোলস বদলে তিনি পড়েছেন সুপার এইটের খোলস।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে করা সেরা পারফর্ম্যান্সের ধারা তিনি বজায় রাখলেন সাবেক চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও। সেইন্ট লুসিয়াতে ঝলমলে দিনে ডি ককের ব্যাটে দেখা মিলল ঝলমলে এক ইনিংসের। শুরু থেকেই হাত খুলে খেলতে থাকেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই ওপেনার।
ইংলিশ শিবিরের অন্যতম সেরা বোলার জোফরা আর্চার তো এ দিন রীতিমত খেই হারালেন ডি ককের বিপক্ষে বোলিং করতে। বাঁ হাতি এই ব্যাটার আর্চারের এক ওভার থেকেই আদায় করেন ১৭ রান। ২ ছক্কা আর ২ চারে মোট ২১ রানের সেই ওভারে অনেকটা অসহায়ই হয়ে পড়েন আর্চার।
মাত্র ২২ বলেই ডি কক পৌঁছে যান অর্ধ শতকের ঘরে। আর মাধ্যমেই যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারন জোন্সের সাথে যৌথভাবে জায়গা করে নেন এবারের আসরের দ্রুততম অর্ধ শতক করার তালিকার শীর্ষে।
সতীর্থ রিজা হেন্ডরিক্স দশম ওভারে ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলীর শিকার হলে ভেঙ্গে যায় তাঁদের ৮৬ রানের জুটি। তবে তাতে ডি ককের ইনিংসে কোনো প্রভাব পড়েনি। বরং হেনরিখ ক্লাসেনকে সাথে নিয়ে রানের চাকার গতি বাড়াতে থাকেন।
তবে কিছুক্ষণ পরে সেই আর্চারেরই শিকারে পরিণত হন ডি কক। আর্চারের এক বাউন্সে দুর্দান্ত এক ক্যাচ ইংলিশ দলপতি জশ বাটলার তাঁর দস্তানায় লুফে নেন। আর তাতেই ইতি ঘটে ডি ককের ৩৮ বলে ৬৫ রানের অসাধারণ ইনিংসের। যেখানে তিনি ব্যাট করেছেন ১৭১ স্ট্রাইক রেটে আর তাঁর ইনিংস জুড়ে ছিল ৪টি চার এবং ৪ টি নান্দনিক ছক্কার মার।
আগের ম্যাচের মতো ইনিংস দীর্ঘ করতে না পারলেও, ডি কক দেখিয়ে গিয়েছেন যে তিনি আছেন রানের ধারায়। তাছাড়া সুপার এইটের প্রতি ম্যাচই সমান গুরুত্বপূর্ণ। আর এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কুইন্টন ডি ককের অসাধারণ ইনিংসে প্রোটিয়া শিবিরে বইছে স্বস্তির হাওয়া।